কোয়ান্টাম কম্পিউটার

কম্পিউটারের পরিবর্তিত ও অগ্রসর ধারার একটি ধারণা বা রূপ হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। প্রচলিত ধারার কম্পিউটারের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না নতুন ধারার এই কম্পিউটারকে। আকারে বড়-সড় হওয়ায় দেখলে মনে হবে যেন পুরনো যুগের কোনো এক কম্পিউটার। কেক আকৃতির কয়েকটি বস্তু উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলে যেমনটি দেখাবে, তেমনই হবে এর যান্ত্রিক অবস্থা । এর সঙ্গে থাকবে বেশ কয়েকটি ধাতব সিলিন্ডার আর সবার নিচে থাকবে কালো একটি চিপ। এর সবই থাকবে কম্পিউটার কাঠামো বা কেসিংয়ের ভেতরে। বাইরে যথারীতি একটি মনিটর বা ডিসপ্লে থাকবে।

বাজারে এ ধরনের ব্যয়বহুল কম্পিউটারের ব্যবসায়িক চাহিদা বা মূল্যমান নেই, তবে এর গুরুত্ব আছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই কোয়ান্টাম প্রযুক্তির কম্পিউটার নিয়ে কাজ চলছে।

কোয়ন্টাম প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অগ্রগামী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে ডি-ওয়েভ। কানাডার গ্রোসারি চেইন কম্পানি সেভ অন ফুড এই প্রযুক্তির কম্পিউটারকে নিজেদের সুপার শপের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ব্যবহার করতে চায়। তাই তারা ডি-ওয়েভের সঙ্গে মিলে নতুন ধরনের কম্পিউটার উদ্ভাবনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবং তাদের যৌথ কার্যক্রম ইতোমধ্যে ফলপ্রসু হয়েছে।

সেভ অন ফুডের মুখপাত্র জানায়, উদ্ভাবিত এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার এখন চালনা ও ব্যবহারিক অবস্থায় এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করার ধাপে আছি। এই অবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- এর মাধ্যমে যাবতীয় জটিল কার্যক্রম সমাধান করা যাচ্ছে কিনা এবং এটি যথারীতি ব্যবহার করার মতো উপযোগী কিনা।