অ্যাপে শারীরিক অবস্থা জানাবেন তামিম-মুশফিকরা

করোনা পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে ক্রিকেটারদের শুধুই ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়ে স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেজন্যই তারা নিয়ে এসেছে ‘কভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’। যে অ্যাপের মাধ্যমে পুরুষ ও নারী জাতীয় দল এবং বিশ্বকাপজয়ী অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের সবশেষ শারীরিক অবস্থা অবহিত করবেন দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনকে। ক্রিকেটারদের দেওয়া তথ্যে কারো মধ্যে সংক্রমণের কোনো সম্ভাবনা টের পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বিসিবির চিকিৎসকরা।

এই অ্যাপ চালুর খবর দিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এর আওতায় কারা কারা থাকছেন, জানিয়েছেন সেটিও, ‘আপাতত সবাইকে এই অ্যাপের আওতায় আমরা আনতে পারছি না। তবে ধাপে ধাপে আরো অনেককেই আমরা যুক্ত করবো। একে একে সাপোর্ট স্টাফসহ অন্যরাও যোগ হবেন। শুরুতে আমরা ৭০ জনের মতো ক্রিকেটারকে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আনছি।’

তারা কারা? ‘জাতীয় দলের সম্ভাব্য ৩০-৩৫ জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটাররা তো থাকছেই। আছেন চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটাররাও। বিশ্বকাপজয়ী অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদেরও রাখা হয়েছে।’

নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, আগে থেকেই ব্যবহার করে আসা সফটওয়্যারে এই অ্যাপটি যুক্ত করা হয়েছে, ‘আমরা আগে থেকেই বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে আসছি। এর একটি অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। সেটিরই সম্প্রসারিত অংশ বলা যায় এই অ্যাপকে।’

এটি কিভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে ধারণা দিতে গিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ক্রিকেটাররা নিজেদের মোবাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করবে প্রথমে। এরপর সেখানে থাকা কিছু প্রশ্নের জবাবও অ্যাপের মাধ্যমেই দেবে। প্রথম ধাপ হয়ে গেল। এরপর প্রতিদিন সকালে এই অ্যাপে ঢুকে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের জবাব দেবেন তারা। এই কাজটি করতে তাদের সর্বোচ্চ ৩০-৪০ সেকেন্ড সময় লাগবে। ব্যস।’

সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেবেন বিসিবির চিকিৎসকরা। কারো মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ আছে জানলেই তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেবেন। নিজাম উদ্দিনের মতে, এই প্রক্রিয়ায় প্রত্যেকের খোঁজখবর নেওয়ার ব্যাপারটি অনেক সহজও হয়ে গেল, ‘৭০ জন ক্রিকেটারকে প্রতিদিন ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া খুব কঠিন কাজ হত। অ্যাপের মাধ্যমে সেটি খুব সহজেই আমরা জানতে পারবো এখন।