অস্বচ্ছল অটিজম শিশুদের পরিবারের জন্য মেয়রের উপহার

বিশেষ শিশুদের (অটিজম) জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ও ত্রাণ সহায়তার জন্য মুঠোফোন অথবা ক্ষুদে বার্তা দিন-মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, “অটিজম আক্রান্তরা আমাদের পরিবার তথা সমাজের অবিচ্ছেদ্য সদস্য। তাদেরকে সফল ও কর্মক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত করতে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘শুভেচ্ছা দূত’, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ড.সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সর্ব প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আজ সমাজ ও রাষ্ট্রে অটিজমরা স্বাভাবিকদের ন্যয় প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, আমাদের সকলেরই সমাজে সমানভাবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে, তেমনি রয়েছে অটিজমদেরও। এই মহামারীতে তাদেরও কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু শারীরিক কিংবা মানসিকগত সমস্যার কারনে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহন করতে পারছেন না। এই উপলব্ধি থেকে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি অটিজম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ্যপন্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পৌঁছে দেব। তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্তদের সামাজিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলায় আমরাদেরকে দায়িত্ব নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র বলেন, আমি মনে করি আমরা যদি বিশেষ শিশুদের(অটিজম) খাদ্যের জোগান দিতে পারি তাহলে তারা ঘরে থেকে সুস্থ পরিবেশে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে। তিনি আরো বলেন, অটিজম আক্রান্তদের মৌলিক অধিকার পেতে সমাজে জায়গা করে দিতে হবে যাতে তারা তাদের অবদান রাখতে পারে। অন্যথায় আমরা দায় এড়াতে পারবো না। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের বিশেষ শিশুদের(অটিজম) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অস্বচ্ছল ও কর্মহীন ১৮০ পরিবারকে সিটি মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল হতে ভোগ্যপন্য উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন। আজ প্রদত্ত ১১ টি অটিজম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভোগ্যপন্য উপহার তুলে দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-চট্টগ্রাম সেনা নিবাসস্থ প্রয়াসকে ১২ টি, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর আশার আলোকে ১২টি, স্পেকট্রা স্কুল অব অটিজমকে ৩৪ টি, প্রেরণা অটিজম স্কুলকে ৮টি, দিপালয় অটিজম স্কুলকে ১০ টি, মাতৃস্নেহ অটিজম একাডেমীকে ৮টি, ড্রীম স্ট্রারস্ অটিজম একাডেমীকে ১০ টি, সুইট বাংলাদেশ চট্টগ্রামকে ২০ টি, সেহের অটিজম সেন্টারকে ৯টি,নিষ্পাপ স্কুল অব অটিজমকে ৫০ টি, প্রাক প্রাথমিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলকে ৭টি সহ মোট ১৮০ টি পরিবারের মাঝে এই উপহার তুলে দেয়া হয়। এসময় প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধি কপৌরাল হোসেন, মাহবুব খান, নাজিম উদ্দিন, চুমকি চক্রবর্তী, মনিষা সেনগুপ্ত, তাব্বাসুম জেরিন, সোমা চক্রবর্তী, লায়ন এম.এইচ খান, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও ঝুলন কুমার দাশ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় মেয়র এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে বলেন এই দুর্যোগকালীন মূহুর্তে বিশেষ শিশুদের (অটিজম) জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ও ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন হলে তাঁকে যেন মুঠোফনে অথবা ক্ষুদে বার্তায় অবশ্যই জানানো হয়।