১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ৩৫ টাকা

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৩৫ টাকা কমিয়ে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এত দিন এজন্য দিতে হচ্ছিল ১২৩৫ টাকা। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে। অক্টোবরের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বাজারে দাম কার্যকর না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা যদি সরাসরি কমিশনে অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কেনার বিষয়ে পরিবেশকেরা (ডিলার) কেউ কমিশনে অভিযোগ করেননি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নিতে তাদের বিইআরসি অনুরোধ করেছে।
গ্যাস না পেয়েও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন গ্রাহকেরা, এ বিষয়ে কমিশনের কী করার আছে-জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ কমিশনে আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে।
বিইআরসি জানায়, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০০ টাকা ১ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।