রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা চালু

প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা চালু হয়েছে।

বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে শুক্রবার এলাকাগুলোতে এই সেবা চালু করে দেয় অপারেটরগুলো।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খাঁন টেকশহরডটকমকে জানান, রোহিঙ্গা এলাকার সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় জনসাধারণের নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখে থ্রিজি ও ফোরজি সুবিধা চালু করা হয়েছে। এটি মনিটরিংয়ে রাখা হবে যেন এর অপব্যবহার না হতে পারে।

২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির নির্দেশনার পর ২ সেপ্টেম্বর হতে রোহিঙ্গা এলাকায় দিনে ১৩ ঘন্টা থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ রাখে। পরে ১০ সেপ্টেম্বর এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাকাপাকিভাবে থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ওই বছরের সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার পর একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। ওই কমিটি কক্সবাজার এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘুরে যে প্রতিবেদন দেয়, সেখানে বলা হয় এখন আনুমানিক তিন লাখ মোবাইল সংযোগ চালু রয়েছে ওখানে।

২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে এবং তাদের অধিকাংশের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে।

প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল এদের প্রায় সবাই যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে সে কারণে সিমের সংখ্যা সাত-আট লাখ হতে পারে।

এই সিমগুলো দিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যোগাযোগসহ বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করতো। একই সঙ্গে তারা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যেখানেও তারা যোগাযোগের নানা অ্যাপ ব্যবহার করছিল।

এর প্রেক্ষিতেই সেপ্টেম্বরে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তখন রোহিঙ্গাদের কাছে আর কোনো সিম বিক্রি না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।