পোর্টল্যান্ড বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে বাগযুদ্ধে ট্রাম্প ও বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রে ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে সহিংস বিক্ষোভ নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও আগামী নির্বাচনে তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বি জো বাইডেন। ট্রাম্প ওই সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক মেয়র টেড হুইলারকে। বলেছেন, হুইলার শহরটিতে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে দিয়েছেন। অন্যদিকে, বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বেপরোয়াভাবে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, শনিবার পোর্টল্যান্ডে ট্রাম্প-সমর্থকদের সঙ্গে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মাঝে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ২৫শে মে মিনেয়াপোলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর থেকেই পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের অন্যতম স্থান হয়ে ওঠে পোর্টল্যান্ড। জানা গেছে, শনিবার নিহত হওয়া ব্যক্তি উগ্র ডানপন্থি ছিলেন। এর আগের সপ্তাহে উইসকনসিনে পুলিশের গুলিতে অপর এক কৃষ্ণাঙ্গ আহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
সেখানে এক কিশোরের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত ও একজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
পোর্টল্যান্ডের মেয়র হুইলার সতর্ক করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সেখানে প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছে বহু মানুষ। তিনি বলেন, আজ যারা টুইটারে বলছেন যে, তারা পোর্টল্যান্ডে এসে প্রতিশোধ নেবেন, আমি তাদের দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ট্রাম্পেরও সমালোচনা করেন হুইলার। বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টই এই বিদ্বেষ ও বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। তিনি যদি আমাদের সহায়তা করতে পারেনতো ভালো, না হয় এখান থেকে দূরে থাকুন।
রোববার ধারাবাহিক কয়েকটি ট্রাম্প বলেন, বোকার মতো একজন মেয়র থাকলে পোর্টল্যান্ড কখনোই সুস্থ হয়ে ওঠবে না। শহরটিতে সেনা মোতায়েনের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, নেতৃত্ব দিতে অনিচ্ছুক তিনি।
এদিকে, পাল্টা জবাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প হয়তো এমনটা বিশ্বাস করেন যে, আইন ও শৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করায় তিনি শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পোর্টল্যান্ডের সহিংসতা থেকে তার সমর্থকদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রমাণ করে তিনি কতটা দুর্বল।
প্রসঙ্গত, আগামী নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাতে দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে নামছেন ট্রাম্প। পুননির্বাচনীর ক্ষেত্রে তার প্রধান প্রতিপাদ্যই হচ্ছে, আইন ও শৃঙ্খলা। তিনি দেখাতে চাইছেন, ডেমোক্র্যাটরা অপরাধ দমনে শক্তিশালী না।