উইকিপিডিয়ায় আর্শদ্বীপকে ‘খালিস্তানি’ বানিয়েছে পাকিস্তানিরা: দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

২০২১ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। সেই ম্যাচে বাজে বোলিংয়ের কারণে ভারতীয় সমর্থকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। তাকে পাকিস্তানের দালাল বলতেও ছাড় দেয়নি উগ্র সমর্থকেরা। বছরঘুরে এশিয়া কাপে ভারতীয় সমর্থকদের কাঠগড়ায় আর্শদ্বীপ সিং। সুপার ফোরে পাকিস্তানের আসিফ আলীর ক্যাচ ফেলে দেয়ায় তুমুল সমালোচনা সইছেন তিনি। এমনকি জাতিতে শিখ এই ক্রিকেটারের উইকিপিডিয়া পেজে তথ্য বিকৃতিও করা হয়েছে। তবে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের দাবি, ভারতীয়রা নয়; পাকিস্তানিরাই পাল্টেছে উইকিপিডিয়ায় আর্শদ্বীপের তথ্য তথ্য।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ‘খালিস্তান মুভমেন্ট’- এর সঙ্গে আর্শদ্বীপের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি তার নাম পাল্টে উইকিপিডিয়ায় তার পেজে লেখা হয়, মেজর আর্শদ্বীপ সিং বাজওয়া! তাকে ‘খালিস্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার দেশ ‘খালিস্তান পাঞ্জাব’ উল্লেখ করা হয় এবং বেশ কিছু জায়গায় ভারতের বদলে তথ্য বিকৃতি করে খালিস্তান উল্লেখ করা হয়। তার ক্রিকেটীয় পরিসংখ্যানও পাল্টে দেয়া হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে উইকিপিডিয়ায় আর্শদ্বীপের পেজে তথ্য বিকৃতির কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম।

তবে গণমাধ্যমগুলোর নাম প্রকাশ করেনি টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পাঞ্জাবের তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ভারতে কোনো মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান এমন ভুল তথ্য দিতে পারে না। সরকারের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রত্যাশার বিপরীতে ইচ্ছাকৃত উসকানি দেয়া হচ্ছে।’

গত রোববার সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৮তম ওভারের ঘটনা। রবি বিষ্ণইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করে আকাশে তুলে দেন আসিফ। আর বল সোজা গিয়ে পড়ে আর্শদ্বীপের হাতে। তবে তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটবঞ্চিত হওয়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দেখান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। এসময় জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫ বলে ৩১ রান। জীবন পেয়ে বাজিমাত করেন আসিফ। পরের ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ ওভারে আর্শদ্বীপের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান আসিফ। অবশেষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পরাজয় বরণ করে পাকিস্তান।