পতেঙ্গা সমুদ্র-উপকূলের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলমগীর নামে এক যুবক সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছুরিকাঘাতের হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতার অন্য আসামিরা হলেন- তানভীর হাসান মীম (১৮), মো. জাহিদ হোসেন ইমন (১৮), মো. আলী আকবর গুরু (২০) মো. নাসিম ও মো. মনির উদ্দীন হৃদয় (২০)।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভোরে স্থানীয় একজন রক্তমাখা শার্ট পরা এক যুবককে দেখে। পরে খুনের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে জানায়। পুলিশ রক্তমাখা সেই শার্টের সূত্র ধরে মো. আলমগীরকে গ্রেফতার করে। গত শনিবার রাতে পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা উপকূলের বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করতে আলমগীরের নেতৃত্বে ছয়জন অংশ নেন। টাকা-পয়সা আছে ভেবে তারা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পথ আটকায়। কিন্তু তার কাছে কিছু ছিল না। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বুক ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পতেঙ্গা সমুদ্র-উপকূলের বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৮-৪০ বছর হবে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ক্লুবিহীন মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হত্যার সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য না পাওয়ায় কষ্টকর ছিল। তদন্তের একপর্যায়ে স্থানীয় একজন ঘটনার দিন ভোরে রক্তমাখা শার্ট পরা অবস্থায় আলমগীর নামের একজনকে দেখার কথা জানায়। সেই সূত্র ধরে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগীর পেশাদার একজন ছিনতাইকারী। মারামারির একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন আলমগীর। সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন আলমগীর।
তিনি বলেন, মরদেহের এখনো পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত হয়নি। গ্রেফতারের পরে আলমগীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ফুলশার্ট জব্দ করা হয়। আলমগীরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত তার আরও ৫ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমগীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আলমগীরসহ ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।











