পাহাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রশাসন

পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৪ মে) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম নগরের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন  জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নগরে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যে কোনো সময়ে পাহাড় ধসের মতো ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।

তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন সার্কেলের সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব পাহাড়ে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি ও সরকারি মালিকানাধীন ৭টি সহ মোট ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করছে ৮৩৫ পরিবার।

গত ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এসব পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে পাহাড় খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এসব পাহাড়ে ইউটিলিটি সার্ভিস (সেবা সংযোগ) বিচ্ছিন্ন এবং ১৫ মে এর মধ্যে পাহাড় খালি করার নির্দেশ দেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো. রাজিব হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে নগরে মোট ৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।