মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস

নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে বিরোধিরা একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নীরব রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতের কংগ্রেস পার্টি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।  সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব এক আবেদনে মোদী ও শাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে বারে বারে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মোদী এবং     শাহ। কিন্তু অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নীরব রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার এই আবেদনের শুনানি হবে বলে জানা গেছে। এর আগেই কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন,আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আদালতে যাওয়ার অধিকার আছে আমাদের। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে ‘মেগা পুলিশম্যান’ আখ্যায়িত করে বলেন, তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনকে তিনি কটাক্ষ করে ‘ইলেকশন অমিশন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মোদি এবং অমিত শাহ কি আচরণবিধির বাইরে কিনা তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিকে তিনি ‘মোদি কোড অব কন্ডাক্ট’ বা ‘মোদির আচরণবিধি’ বলে আখ্যায়িত করেন। কংগ্রেস  অভিযোগ করেছে, তিনটি ক্যাটাগরিতে মোদি ও শাহ আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য দায়ী। তা হলো, ভোটারদের মেরুকরণ করা, নির্বাচনী প্রচারণায় সেনাবাহিনীকে টেনে আনা ও নির্বাচনের দিনে নির্বাচনী র‌্যালি করা। কংগ্রেসের মতে, একই ধরণের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই মোদী ও শাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াতেই তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন।