
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেছেন, ৭ মার্চ বাঙালির অলিখিত স্বাধীনতা দিবস।
তিনি আরো বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসকদের শোষণে শোষিত বঞ্চিত দিশেহারা বাঙালি জাতি সেদিন খুঁজে পেয়েছিল আপন জন্মভূমির অস্তিত্বের ঠিকানা।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমাদার বলেন, পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু দলের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির সত্বেও বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন এবং সংগঠনের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শওকত বাঙালি ও দেলোয়ার মজুমদার উপর্যুক্ত কথাগুলি বলেন।
গতকাল ৯ মার্চ নগরীর মোমিন রোডস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে চট্টলবন্ধু এসএম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা দীপঙ্কর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে এবং কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-সংগঠনের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন যুব, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সেলিম রনি, এম. হামিদ হোছাইন, ইমরান হোসেন ইমু, মুক্তা জামান, দিপু বড়ুয়া, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, আজমীরুল ইসলাম, সাদ্দামদ হোসাইন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর চৌধুরী কাজল বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে তিনি একদিকে পাকিস্তানি জান্তাকে হুঁশিয়ার করলেন এই বলে যে, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না।’ একই সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালিকে শত্রুর আঘাতে প্রতিঘাত করার পথ বাতলে দিয়ে বলেন, ‘জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, পানিতে মারব।’
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেলা, উপজেলা, থানা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সম্মেলন ঘোষণা বিষয়ে এবং ২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে প্রতিবছরের ন্যায় ওইদিন রাত ৮টায় প্রেসক্লাব চত্বরে আলোর মিছিল ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।










