মহান বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ পাকি চেতনামুক্ত সমাজ বিনির্মাণ হোক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালা ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সংগঠনের দোস্তবিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে ও নজরুল স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে ছিল- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মিনারে পুস্পস্থবক অর্পণ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, জাগরণের গান, বৃন্দ আবৃত্তি, শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চবি গবেষক ভাস্কর ডিকে দাশ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাপানের অনারারি কনসুলার মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, চবি সিনেট সদস্য মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশাহ্ মিয়া চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারুল ঈমান চৌধুরী, সংগঠক লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, একুশমালা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক শওকত আলী সেলিম, কবিয়াল আবদুল লতিফ, যুব নেতা ও সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিব, সংগঠক তাজুল ইসলাম রাজু, প্রকৌশলী রাহুল বড়ুয়া, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য্য, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, সাংবাদিক মুকুল শিকদার, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু, প্রধান শিক্ষক তরনী কুমার সেন, বাচিক শিল্পী মেজবাহ চৌধুরী, ভাষ্কর পীযুষ সরকার, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, নাট্যকর্মী এমরান হোসেন মিঠু, কবিয়াল শ্যামল দাশ, সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া, আজগর আলী প্রমুখ।
নাট্যকর্মী নন্দীনি দেবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাড়িয়ে আজও দেখা যায়, এই বাংলার পবিত্র স্বাধীন ভূমিতে পাকি প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও কখনও নানা ছদ্মবেশে, প্রকাশ্যে তাদের আনাগোনা, পদচারণা, ঘাপটি মেরে থাকা লক্ষ্যনীয়। সংখ্যায় ক্ষীণ হয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধারা এই কীর্তি-কর্ম দেখে অন্তরে কষ্ট পান। গুটি কয়েক যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলেও ঘাপটি মেরে থাকা দেশ বিরোধী শক্তির উত্থান দেখা যায় ক্রিকেটের মাঠে পাকিস্তানি জার্সি পরতে কিংবা চাঁন-তারা মার্কা পতাকা উড়াতে। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার সত্যিই দারুন অবমাননার, অসহ্যের। শক্ত হাতে এই অপশক্তির সংহার আবশ্যক। এর জন্য চাই চেতনার বিকাশ ও মৌলিক ভাবনার ঐক্য। তা নাহলে সেই পরাজিত ঘু ঘু বারে বারে এসে আমাদের ফসলের মাঠে অর্জণ লোপাট করবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন- শিল্পী এম এ হাসেম, শিল্পী স্বপন কুমার দাশ, বৃষ্টি দাশ, উজ্জ্বল সিংহ, জ্যোতি শর্মা, মৈত্রী আচার্য্য, স্বর্ণময়ী চক্রবর্তী, তন্ময় পাল, ডা: শিল্পী শিউলী চৌধুরী, শিল্পী সমীর চন্দ্র সেন প্রমুখ । বৃন্দ আবৃত্তি করেন- বাচিক শিল্পি মেজবাহ চৌধুরী।











