প্রথমে কয়েকজন সদস্য দলবদ্ধ হয়ে তৈরি করে কৃত্রিম ভিড়। নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে জড়ায় বাকবিতণ্ডায়।
এরপর সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তির সব কিছু চুরি করে নেয়। নগরে অভিনব পন্থায় চুরির এ চক্রের এমন তৎপরতা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। চক্রটির মোট ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফ হোসেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো.ফারুকুজ্জামান প্রকাশ মুমিন (৩৫), কাজী হাফিজুর রহমান প্রকাশ সুমন (৪০), মো. সোহাগ শেখ (৩২), মো. আতাউর রহমান (৪০), মো.একরামুল হক(৩৯), মো. আব্দুল কাদের(৫০) ও মো.হাসান মাহমুদ(৪৪)।
পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর দুপুরে চিটাগাং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলেজির ৭ বন্ধু পতেঙ্গার কাটগড় এলাকার থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শেষ করে বাসায় যাচ্ছিল। দশ নম্বর বাসে করে যাওয়ার সময় দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদমতলী মোড়ে রাস্তার ওপর ফারুকুজ্জামান মুমিন ও মো. সেফায়েত উল্লাহ নামে দুই বন্ধুর প্যান্টের পকেট থেকে নগদ ২ হাজার টাকা চুরি করে নেওয়ার সময় তাদের আরেক বন্ধু ইমদাদুল হক নাবিল বিষয়টি দেখে ফেলে। পরে সব বন্ধুরা চোর চক্রের কয়েক সদস্যকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, প্রথমে কয়েকজন সদস্য দলবদ্ধ হয়ে ইচ্ছে করে ভিড় তৈরি করবে। নিজেরা ধাক্কাধাক্কি করে বাকবিতণ্ডায় করবে। এরপর সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তির সব কিছু চুরি করে নেয়। চক্রটির মোট ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক জনের নাম বলেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বন্দর থানার নতুন পোর্ট মার্কেটের সামনে থেকে চক্রের আরও পাচঁ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।











