সিআরবি হাসপাতাল করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এছাড়াও সিআরবি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক নান্দনিকতার কথা ছড়িয়ে দিতে সিআরবি শেখ রাসেল স্কয়াারে আগামী পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে গ্রাম থিয়েটার।
গতকাল রাতে রোটারি ক্লাব অব চট্টগ্রাম হিলটাউবের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সিআরবি ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের হেডকোয়ার্টারের টাকা লুট করে মাস্টার দা বিদ্রোহীদের অর্থ সংস্থান করেছিলেন। সিআরবি শেখ রাসেল স্কয়ার আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে গ্রাম থিয়েটার থেকে পহেলা বৈশাখি অনুষ্ঠান হবে। ঐতিহ্য কৃষ্টি ধ্বংসের কারনে ঢাকা কোন দেশের রাজধানী তা দেখে কেউ বলতে পারবে না। ঢাকা কনক্রিটের জঞ্জালের নগরী। রাণি এলিজাবেথ ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম বেড়াতে এসে বলেছিলেন, চিটাগং কুইন অব দা ইস্ট। আমরা চট্টগ্রামের সেই নান্দনিকতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস করেছি। তিনি বলেন নদী না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। ভেরিয়েশন না থাকলে শিশুরা বড় হবে কি করে। চট্টগ্রামে ৬১ টি বদ্ধভূমি ছিল। এখন তিনটার কথা জানি। বদ্ধভূমি রক্ষা করতে হবে। রোটারি ক্লাব অব চিটাগং হিলটাউনের ১৯তম অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান রবিবার (২১নভেম্বর) সন্ধ্যায় ক্লাব সভাপতি রোটারিয়ান সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে নগরের হোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিককালে কুমিল্লার পুজামণ্ডপে কোরানশরীফ রেখে মন্দির পুজামন্ডপ, বাড়িঘরে হামলা, বর্তমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি আলোকপাত করে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম এখনও তা পূরণ হয়নি, অর্জিত হয়নি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বক্তব্য রাখছেন রোটারি জেলা গভর্নর আবু ফয়েজ খান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু আরও বলেন,রেলওয়ের আরও জায়গা থাকার পরও চট্টগ্রামবাসীর প্রশান্তি ও ভালোবাসার স্থান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও শহিদদের স্মৃতিবিজড়িত সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমিগুলোর অবস্থা বড়ই বেহাল; এসব সংরক্ষণের সরকারি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেই। দেশের অভাবিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এ অচলাবস্থার উন্নয়নে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে শুধু রোটারি কিংবা সরকার নয়, বেসরকারি সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। ক্লাব সভাপতি রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইউসুফ ও অনুষ্ঠান চেয়ারম্যান রোটারিয়ান অনুপ ভট্টাচার্যের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন রোটারি জেলা গভর্নর আবু ফয়েজ খান চৌধুরী, ডিজিই রোহেলা খান চৌধুরী, ডিজিএন ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, পিডিজি এম আতাউর রহমান পীর, অ্যাসিটেন্ট গভর্নর জামাল উদ্দিন আহমদ, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি জালাল উদ্দিন বাবলু, লে. গভর্নর মোহাম্মদ শাহজাহান,সংবর্ধিত পিডিজি এম এ আউয়াল।











