বিগত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানার দায়ের করা দুইটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় হাই কোর্টের জামিনে থাকা চট্রগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাটিয়েছে মহানগর দায়রা জজ আদালত। একই মামলায় জামিন লাভ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা সহ ৯ জন নেতাকর্মী।
আজ রবিবার (২১নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে নেতাকর্মীরা স্বশরীরে হাজির হলে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান তাদের এই আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অনান্যরা হলেন, খুলশী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি আজমল হুদা রিংকু, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক হেলাল হোসেন, যুবদলনেতা ইদ্রিছ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন শিশির।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. মফিজুল হক ভুইয়া, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সিরাজুল ইসলাম, এড. নেজাম উদ্দীন খান, এড নাজমুন হাসান ছিদ্দিকী।
এদিকে জমির উদ্দিন নাহিদ ও ইসহাক খানের হাইকোর্টের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিরোধী দলের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ণ-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। নির্দোষ নেতাকর্মীরা সরকারের নির্মমতার স্বীকার হচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।











