কর্ণেল তাহের বীর উত্তম চিরজীবন বিপ্লবীদের কাছে স্মারণীয় হয়ে থাকবেন

জাসদ স্থায়ী কমিটি সদস্য ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী দুটো ঘটনা আছে-প্রথমটি নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালের গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছিলাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ অর্জনের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে না। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর গৌরবময় সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান। তিনি আজ বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর জাসদ আয়োজিত সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহানগর জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অভীক ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাসদের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭ই নভেম্বর জাসদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা পূঁজিবাদের প্রাণ ভ্রোমরায় হাত দিয়েছিল, যদিও জিয়াউর রহমান এবং কিছু বিপদগামী সেনাকর্মকর্তার বিশ্বাসঘাতকতায় বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তারপরও কর্ণেল তাহের বীর উত্তম ৭ই নভেম্বরের বিপ্লবের নায়ক হিসেবে চিরজীবন বিপ্লবীদের কাছে স্মারণীয় হয়ে থাকবেন। সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আহমদ শরীফ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নুরুল আবছার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা জাসদ নেতা জয়নাল আবেদীন, এ কে এম শামসুদ্দীন, মিহির বরণ চৌধুরী, উত্তর জেলা জাসদ নেতা শহীদুল ইসলাম রিপন, মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি নৃপতি রঞ্জন বড়–য়া, আ.ত.ম জাফরুল ইসলাম, পতেঙ্গা থানা জাসদের সভাপতি হাজী সোলেমান, বন্দর থানা জাসদের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ইপিজেড থানা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু আহসান, শ্রমিক জোট জেলা সভাপতি বোধিপাল বড়–য়া, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান।