নগরের বাকলিয়া থানাধীন খালপাড় এলাকায় গুলিতে লোকমান হোসেন জনি খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. সাইফুল (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ৫ নং ব্রিজ কবরস্থানের পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল বাকলিয়া থানাধীন সবুজবাগ আবাসিক এলাকার রফিক আহমদের ছেলে। তিনি লোকমান হোসেন জনি (২৫) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বলেন, ‘লোকমান হোসেন জনি হত্যা মামলায় আসামি সাইফুল ও জিয়া উদ্দিন বাবলুকে ফটিকছড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাইফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি প্রনব চৌধুরী।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) লোকমান হোসেন জনি হত্যা মামলার আরেক আসামি কৃষ্ণ ধরকে (২৫) ডিসি রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বাকলিয়া থানাধীন খালপাড় এলাকায় খুন হন লোকমান হোসেন জনি। লোকমান হোসেন জনির বাসা নগরের গোলপাহাড় এলাকায়।
পরে লোকমান খুনের ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন লোকমানের মা রোকেয়া বেগম।
পুলিশ জানায়, লোকমান হোসেন জনি ‘বড় ভাই’ হিসেবে কিশোরদের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গিয়ে আরেক ‘বড় ভাই’ সাইফুলের গুলিতে নিহত হন। জয় নামে এক কিশোরকে বাকলিয়া খালপাড় এলাকায় আটকে রাখার খবর পেয়ে সেই গ্রুপের বড় ভাই হিসেবে ওখানে যান লোকমান হোসেন জনি। সেখানে তারা কথা-কাটাকাটিও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পরে সেই খবর সাইফুল নামের আরেক বড় ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি গুলি করেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান লোকমান হোসেন জনি।











