চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ সব সংস্থা সমন্বয় করলে নগরের ২ লাখ ৯১ হাজার ভবন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে আসকারদীঘির কর্ণফুলী টাওয়ার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, নগরের ৩ লাখ ভবনের মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ভবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে ৪১টি মার্কেট ও ১২টি বস্তি চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সড়ক এত সরু আগুন লাগলে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ারও সুযোগ নেই।
আগুন নেভানোর বিভিন্ন কৌশল দেখায় ফায়ার সার্ভিস। ছবি: উজ্জ্বল ধরতিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণের সময় সিডিএর অনুমোদন নেওয়ার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস থেকেও এনওসি এবং ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। মার্কেটের ক্ষেত্রে একতলা ভবন এবং আবাসিকের ক্ষেত্রে ৬ তলার বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের এনওসি ও ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক।’
‘কিন্তু শতকরা মাত্র ৭ শতাংশ ভবনের জন্য ছাড়পত্রের আবেদন করেছে। এরমধ্যে ৩ শতাংশ ছাড়পত্রের শর্তসমূহ পালন করে ছাড়পত্র নিয়েছে। বাকি ৪ শতাংশ এনওসি নিলেও শর্তপূরণ না করায় ছাড়পত্র পায়নি। সে হিসেবে ৯৭ শতাংশ এনওসি পর্যন্ত নেয়নি’ বলেন জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সিডিএ থেকে ভবন নির্মাণের অনুমতি নিলেও সিডিএ কিন্তু শর্ত দিয়েছে, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস বা অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়ার। তারপরও তারা সিডিএ থেকে অনুমতি পাওয়ার পরপরই অন্য সংস্থা থেকে অনুমতি না নিয়ে ভবন নিমার্ণ করে ফেলেছে।
কথা বলছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন। জসীম উদ্দিন বলেন, ভবন নিমার্ণ করার সময় শর্ত পূরণ না করলে সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসাসহ সব সংস্থা যদি সমন্বয় করতো, তাহলে ভবন মালিকরা শর্ত পূরণ করতে বাধ্য হতো। এ জন্য সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া আমরা নিজস্ব অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে হয়।
তিনি বলেন, নগরে ২২ তলা পর্যন্তও ভবন রয়েছে। অথচ আমাদের কাজ করার সক্ষমতা আছে ১৮ তলা পর্যন্ত। এসব ভবনের মালিকদেরকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। যাতে তারা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে পারে। এছাড়া অনেক এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ারও মতো বড় রাস্তা নেই।
তিনি বলেন, এখন সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প অন্য কোনো পথ নেই। যে ভবনগুলো আছে সেখানে বিশেষ করে অগ্নি নির্বাপণকারী বিভিন্ন ধরনের ইক্যুইপমেন্ট রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যা











