পেকুয়া প্রতিনিধি কক্সবাজারের পেকুয়ায় শিক্ষক মোঃ ফরহাদ উদ্দিনকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় ৬ বছর শেষ হলেও ধরা পড়েনি মামলার আসামী ছালেহ জঙ্গি ছোটন ও তার স্ত্রী আসমাউল হুসনা। বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ না করেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হত্যাকারীরা কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল এ আপেক্ষ নিহত শিক্ষক পরিবারের। বিগত ২০১৫ সালের ৬ মে রাত ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউপির আবদুল হামিদ সিকদার পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছালেহ জঙ্গি ছোটন তার স্ত্রী আসমাউল হুসনা শিক্ষক ফরহাদকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন। জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আবদুল হামিদ সিকদার পাড়ার শিক্ষক মো: ইউনুছের পুত্র মো: ফরহাদ উদ্দিন। গণিতে মাস্টার্স শেষ করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী কলেজে শিক্ষাকতা শুরু করেন। ২০১৫ সালের ৪ মে পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসলে ৬ মে রাত ৯টার দিকে তাকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ছালেহ জঙ্গির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত । বিজ্ঞ আদালতে চার্জগঠন অনুযায়ী হত্যাকারী পেকুয়া সদরের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়াস্থ মৃত নুর আহমদের ছেলে ছালেহ জঙ্গি ছোটন ও স্ত্রী আছমাউল হুসনা মামলার আসামী। বর্তমানে মামলাটি বিচার শুনানীতে রয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর পার হলেও মূল আসামী ছালেহ জঙ্গি ছোটন ও তার স্ত্রী পুলিশের হাতে আটক হয়নি আদালতে আত্মসমর্পণও করেনি। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হত্যাকারীরা বাংলাদেশের কোন এক জায়গায় লুকিয়ে আছে এমন অভিমত পরিবারের। হত্যাকারীরা বাংলাদেশে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য নাই আসামী কোথায়। পেকুয়া থানায় ওসি আসে আর যায় হত্যাকারীকে আটকের কোন খবর পায়না পরিবার। পুলিশ বড় বড় সন্ত্রাসী, স্বীকৃত অপরাধী ও আসামীদের আটক করলেও ফরহাদ হত্যাকারীকে আটক না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছেন নিহতের পিতা মো: ইউনুছ, মা রাহেলা বেগম ও বোন দিনা। নিহত শিক্ষকের বোন দিনা বলেন, আমার ভাই মো: ফরহাদ উদ্দিন খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে চট্টগ্রামে একটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করে। ২০১৫ সালের ৪ মে বাড়িতে আসে তার বিয়ের পাত্রী দেখার জন্য। ৬ মে তুচ্ছ ঘটনায় ছালেহ জঙ্গি ছোটনসহ আরো কয়েকজন গুলি হত্যা করে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি পরবর্তি পুরো শরীরে ছুরিকাঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে ওই সন্ত্রাসীরা। হত্যা মামলা হয়েছে। ২জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনও হয়েছে। কিন্তু হত্যাকারী তার স্ত্রীকে নিয়ে সে যেই পালিয়ে গেল আর ধরা গেলনা। বারবার থানায় যায় আর আসি। ভাইয়ের হত্যাকারীর কোন খোঁজ আজও পায়নি। পিতা আর মা বারবার পুত্র শোকে বিলাপ করে বলেন পুলিশ কেন তাকে আটক করছে না। পিতা মাতাকে মাথায় হাত বুলিয়ে বলি আদালতে তাদের ফাঁসির রায় হবে। তিনি আরো বলেন, আমার পিতা মাতামহ আমরা খুবই ভয়ভীতিতে থাকি সন্ত্রাসী ছোটন কখন আমাদের উপর হামলা করে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ তাকে দ্রুত আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হউক।