আইএস-বধূ শামীমার শিশু সন্তানের মৃত্যু

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের শিশু সন্তানটির মৃত্যু হয়েছে।

সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএফের একজন মুখপাত্র শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এসডিএফ হচ্ছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আইএসবিরোধী একটি গ্রুপ, যারা বর্তমানে শামীমা বেগম যে শরণার্থী ক্যাম্পে আছেন সেটার তদারকি করছে।

কুর্দি রেড ক্রিসেন্টের এক প্যারামেডিক বিবিসিকে বলেন, তিন সপ্তাহের কম বয়সী শিশুটির ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শামীমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি এক টুইটে জানান, তার কাছে জোরালো কিন্তু নিশ্চিত করা হয়নি এমন রিপোর্ট এসেছে যে শামীমা বেগমের প্রায় দু-সপ্তাহ বয়সী পুত্রসন্তানটির মৃত্যু হয়েছে।

আকুঞ্জি তার টুইটে শামীমার পুত্রসন্তানকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেন।

১৯ বছরের শামীমার এটা ছিল তৃতীয় সন্তান। তার আগের দুটি সন্তানই অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দু’জন বান্ধবীসহ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা।

গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার বাঘুজে এক শরণার্থী শিবিরে শামীমাকে খুঁজে পান লন্ডনের দৈনিক ‘দ্য টাইমসে’র এক সাংবাদিক। সে সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকা শামীমা তাকে জানিয়েছিলেন, অনাগত সন্তানের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। তবে নিজের কৃতকর্মের জন্য তিনি অনুতপ্ত নন বলেও জানান শামীমা।

এরপর থেকে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়া তরুণীকে ফেরত আসতে দেয়া উচিত কি-না। এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে।