দেশ বিরোধী, ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের আইনের আওতায় আনতে হবে

বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধন ও সমাবেশ
‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি এবং তাদের দোসর, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। বারবার দেশের স্বাধীন অস্তিত্বকে আঘাত করেছে, মুক্তিযুদ্ধে চেতনাকে আঘাত করেছে। ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদী এই অপশক্তি ভাস্কর্য-মূর্তি বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেশকি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানা রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দিন দিন বিকাশ লাভ করেছে। এখনই এই অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ভাস্কর্য বিরোধী ও দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শুভশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে’।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মী, চট্টগ্রাম’র ব্যাণ্যারে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই আহবান জানানো হয়। ‘ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি প্রতিহত করো’ এই শ্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী’র সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক প্রীতম দাশ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে’র সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, হামিদ উল্লাহ, সরোয়ার আমিন বাবু প্রমুখ। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চে চট্টগ্রামের সংগঠক সুনীল ধর, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রনব চৌধুরী, সাবেক আরশাদুল আলম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, খেলাঘর সংগঠক রুবেল দাশ প্রিন্স, দারুল উলুম আলেয়া মাদ্রাসার ছাত্রসংসদের ভিপি রফিকুল ইসলাম, সরকারি হাজী মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাইমুন উদ্দিন মামুন, চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর নবী শাহেদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভাঙচুর করেছে তারা বাংলাদেশের অস্থিত্বে আঘাত করেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদী গোষ্ঠী জড়িত। অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তি বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি পাল্টানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সরকার-উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতির বিরুদ্ধাচরণ করে দেয়া তাদের বক্তব্য দেশদ্রোহিতার সামিল। হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামসহ ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আবার একাত্তরের হাতিয়ার নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।#