রাজনীতি থেকে অবসরের পর নিজের গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় থাকার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি (রাজনীতি থেকে) অবসর নেবো, তখন আমার গ্রামে চলে যাবো, সেখানেই থাকবো- এটা আমার সিদ্ধান্ত। আমি আমার গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায়, আমার পৈতৃক বাড়িতে থাকবো।’
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাহিনীর শিল্পীরা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন।
এ সময় আনসার-ভিডিপি একাডেমির লেকে নৌকায় দুই শিশুর নৃত্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকা দেখে নিজের শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যান তিনি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ছবি: পিআইডিটুঙ্গীপাড়ায় শৈশব কাটানো শেখ হাসিনা বলেন, আমার দাদার একটি বড় পানসি (বড় নৌকা) ছিলো, এর ছিলো দু’টি কক্ষ ও জানালা…। আমি নৌকায় উঠলেই জানালার পাশে বসতাম এবং দুই হাতে জানালা দিয়ে পানি ছুঁইতাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলেন, অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে আমার ভাই কামালসহ (শেখ কামাল) আমি নৌকার ছাদে লাফালাফি ও নাচানাচি করতাম। নৌকা দেখলেই আমার আমার শৈশবে কাটানো সেই দিনগুলোর স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
এ সময় গ্রামের উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য গ্রামের মানুষকে শহরের সব সুবিধা দেওয়া…। তারা অপেক্ষাকৃত ভালো জীবন-যাপনের পাশাপাশি সুন্দরভাবে বাচঁবে।
‘আমি আগামী দিনের শিশুদের জন্য উজ্জ্বল এবং উন্নত পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, আর তা অবশ্যই প্রযুক্তিভিত্তিক।’
আনসার-ভিডিপির সদস্যদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস আনসার-ভিডিপির প্রতিটি সদস্য দেশের গ্রামগুলোকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ সদস্য, তিনবাহিনী প্রধান ছাড়াও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।