ফেনী শহরের মহিপালে শাহীন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপরই বুদবুদ করে গ্যাস লাইন লিকেজের স্থান পরিদর্শনে এসেছেন বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শংকর মজুমদার।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাখরাবাদের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধস্তনদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিযারিং সার্ভিস) আবুল বাশার, নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বিক্রয়) মো. সোলায়মান, ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাগির আহমেদ, ফেনী এরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাহাবুদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও নুরুল করিম প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সড়কের শাহীন হোটেলের সামনের ওই স্থানে বেশ কয়েকমাস ধরে বুদবুদ করে অনবরত গ্যাস বেরোচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে হাঁটলে গ্যাসের গন্ধ নাকে লাগে। কখনো কখনো আগুনও ধরে যায়।
বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি নজরে এলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে তাদেরকে অবহিত করা হয়। এরপর গত ২৬ জুলাই গ্যাসের লিকেজ লাইনের সংস্কার করতে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাখরাবাদের নোয়াখালী অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাগির আহমেদ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদসহ উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল শুক্রবার বাখরাবাদের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান টেকনেশিয়ানদের নিয়ে ছুটে যান। সেখানে ১০ বস্তা পরিমাণ বালু ফেলা হয়।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার দের শংকর মজুমদার জানান, বিষয়টি জেনে সওজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। এটি জাতীয় মহাসড়ক হওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সহযোগিতার বিষয় রয়েছে। তাদের কাছ থেকে সাড়া পেলে ব্যবস্থা নিতে পারবো। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটির সমাধান হবে।