চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে রাশেদ খান
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বুকে ধারণ করে আর্তমানবতার সেবার অঙ্গীকার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের পথ চলা শুরু। ১৯৮০ সালের ১৯ আগষ্ট থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল দীর্ঘ পথ চলায় অতিক্রম করেছে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সব সময়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টি ও প্রখর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নেতা। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন সেবা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন দরকার। সেই বিশ্বাস থেকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজ হাতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলেন।
তিনি বুধবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে নগরীর ষোলশহর ২ নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণকালে এ কথা বলেন।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বরণের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হয়। স্বৈরাচার এরশাদ গলা টিপে গণতন্ত্রকে হত্যা করে।মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃতে দীর্ঘ নয় বছর বিএনপি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গসংগঠন গুলো কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। স্বৈরাচার এরশাদ হটানোর আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সহ্য করতে হয়েছে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন ও জেল জুলুম। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই সময়েও অবৈধ সরকার মানুষের সকল মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিঃ সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমিরউদ্দীন নাহিদসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।











