বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ওলামালীগ এর যৌথ উদ্যোগে শোক দিবস ও আলোচনা মাহফিল অদ্য ১৫ আগস্ট মুজাফ্ফরনগর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর ওলামালীগ এর প্রচারণা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন সুলতানি’র সঞ্চালনায় মাওলানা মাহফুজুর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী ওলামালীগ এর সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ উল্লাহ রজায়ী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী ওলামালীগ জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক মাওলানা কাজী নূর মোহাম্মদ যুগ্ম । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রবিউল আলম ছিদ্দিকী। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী ওলামালীগ মাওলানা সেলিম উল্লাহ, হাফেজ মিছবাহ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা হামিদুর রশিদ, মাওলানা রহিম উল্লাহ, হাফেজ কমর উদ্দীন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, হাফেজ আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ষড়যন্ত্রকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়। এদের একদল ছিল মেজর হুদার অধীনে বেঙ্গল ল্যান্সারের ফার্স্ট আর্মড ডিভিশন ও ৫৩৫ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা যারা মুজিবের বাসভবন আক্রমণ করে। হত্যাকান্ডে শিকার হন মুজিবের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, মুজিবের ছোট ভাই শেখ নাসের, দুইজন চাকর; শেখ জামাল, ১০ বছর বয়সী শেখ রাসেল এবং মুজিবের দুই পুত্রবধুকে হত্যা করা হয়। সেসময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন বিধায় প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে তারা ভারত সরকারের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে ভারতে চলে আসেন। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাসিত অবস্থায় দিল্লীতে বসবাস করতে থাকেন। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন করেন। বক্তারা আরো বলেন, দুটি সৈনিক দল মুজিবের ভাগ্নে ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ ফজলুল হককে (মনি) ও তার অন্তস্বত্বা স্ত্রীর সাথে ১৩/১, ধানমন্ডিতে এবং মুজিবের ভগ্নিপতি ও সরকারের একজন মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে তার পরিবারের ১৩ জন সদস্যসহ মিন্টু রোডে হত্যা করে খুনিরা। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।











