লাদাখ সীমান্তে চীনের অনুপ্রবেশ এবং কুড়ি ভারতীয় সেনার মৃত্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সর্বদল বৈঠক থেকে বাণিজ্যিকভাবে চীনকে বয়কট করার আহ্বান জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা তাঁর ভাষণে দেশের রেল, বিমান পরিবহন এবং টেলিকম শিল্পে চীনকে ঢুকতে না দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, চীনে কোনও গণতন্ত্র নেই, আছে একনায়কতন্ত্র। তাই আগ্রাসী চীনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখার প্রশ্ন নেই। দেশের সব কটি বড় রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শাসনকালের তৃতীয় সর্বদল বৈঠকটি করলেন আজ। বৈঠকে আক্রমণাত্মক ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, সেনা ইন্টেলিজেন্স এর কাছে কেন কোন খবর ছিলনা? এটাকে কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলা হবে না? সোনিয়া মনে করেন, এই সর্বদল বৈঠক আরও আগে ডাকা উচিত ছিল। তিনি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের অবস্থা এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এন সি পি প্রধান শারদ পওয়ার ও প্রশ্ন তোলেন, অস্ত্র ব্যবহার হলোনা। অথচ কুড়ি ভারতীয় সেনার মৃত্যু কি ভাবে হলো? বৈঠকে উপস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশ মন্ত্রীকে জয়শঙ্কর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আগে সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরে এবং পুলওয়মার ঘটনা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন। শুক্রবারের বৈঠকে কুড়িটি রাজনৈতিক দল যোগ দিয়েছিল।।
আপনার মতামত দিন