নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই: বর্তমানে বিশ্ব আতংকের নাম মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯)। দেশের সর্বশেষ জেলা রাঙামাটিতেও এই সংক্রামন ছড়িয়ে পড়েছে। রাঙামাটি জেলায় করোনা ছড়ালেও কাপ্তাই উপজেলা এখনো করোনামুক্ত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মতে কাপ্তাই উপজেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা রাজস্থলী, বিলাইছড়ি এবং রাঙ্গুনীয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে কাপ্তাই রয়েছে। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থানে গিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। কাপ্তাই উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আপ্রাণ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনীসহ সরকারি দপ্তর সমূহ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা কে জয় করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল যিনি কাপ্তাইকে করোনামুক্ত রাখতে সর্বোপরি কাপ্তাইের মানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে যেদিন প্রথম করোনা শনাক্ত হয় তিনি সেইদিন থেকেই কাপ্তাইে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় কাপ্তাইে করোনা পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা মানুষগুলোকে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় পৌঁছে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ ত্রানসামগ্রী। কাপ্তাই উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়নে এই পর্যন্ত প্রায় উপজেলা প্রশাসন হতে ১২ হাজারেও অধিক অসহায় পরিবার পেয়েছে এই ত্রানসামগ্রী। কাপ্তাইের মানুষ কে করোনা মুক্ত রাখতে যেই যেই পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করা জরুরী সবগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহন করেছেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত কল্পে আমরা শুরু থেকে হাটবাজার বন্ধ রেখেছি, নিয়ন্ত্রন রেখেছি সড়কেও। জনগনকে ঘরে রাখতে সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সমন্বিত ভাবে কাজ করে আসছি। খেটে খাওয়া মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে আমরা তাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি। কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার জানান, কাপ্তাই থানা, চন্দ্রঘোনা থানা, কাপ্তাই ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে কাপ্তাইয়ে প্রতিটি প্রবেশমুখে আমরা কঠোর নজরদারি রেখেছি। কাপ্তাই থানার ওসি নাছির উদ্দিন এবং চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন জানান, কাপ্তাই উপজেলায় যাতে বহিরাগত প্রবেশ করতে না পারে, লোকজন অহেতুক ঘর থেকে বের না হয় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যরা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ জনগন মনে করেন, কাপ্তাইয়ে সংক্রামন রোধে উপজেলা প্রশাসনের এধরনের পদক্ষেপ যুগোপযোগী।