বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের অবিসংবাদিত গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী নকীব খানের ৬৫তম জন্মদিন আজ।
১৯৬০ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে জন্ম তার। ছবি: সংগৃহীত
কৈশোরেই ব্যান্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন নকীব খান। বালার্ক ব্যান্ডে গায়ক, পিয়ানিস্ট ও শিল্পী হিসেবে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সাহেদ উল আলমের নেতৃত্বে নতুন স্বপ্নে বিভোর কয়েক তরুণ চালু করেন সুরেলা নামের একটি অর্কেস্ট্রা দল।
১৯৭৪ সালে নাম বদলে রাখা হয় সোলস। সাজেদ, লুলু ও রনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। শিল্পী তপন চৌধুরী ও আহমেদ নেওয়াজের পর সে বছরই সোলসে এ যোগ দেন নকীব খান। তারপর নিজেদের কথা ও সুরে গান শুরু করে দলটি। সোলসে প্রায় ১০ বছর ছিলেন নকীব খান।
১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড রেনেসাঁ। ১৯৮৮ সালে আসে দলের প্রথম অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’ নামেই।
১৯৯৩ সালে ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ১৯৯৮ সালে ‘৭১-এর রেনেসাঁ’ এবং ২০০৪ সালে ‘একুশ শতকের রেনেসাঁ’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করে তারা।
কুমার বিশ্বজিত, তপন চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী থেকে শুরু করে আরও বরেণ্য শিল্পী রয়েছেন, যাদের প্রথম গান বা প্রথম অ্যালবাম তৈরি হয়েছে নকীব খানের সুরে।
শুধু তাই নয়, এ দেশের ব্যান্ড সঙ্গীতকে যারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে এসেছেন, তাদের অন্যতম নকীব খান।
নকীব খান নিজের ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘এখন অনেক রাত’, নিজের ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, কুমার বিশ্বজিতের ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ও কালজয়ী গানের সুরকার।
১৯৯৩ সালে বিয়ে করেন নকীব খান ও নুসরাত খান। তাদের ঘরে রয়েছে এক মেয়ে ফাবিহা খান ও এক ছেলে জারিফ খান।