বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, জামায়াতে ইসলামী সহ ৮ দলের একটাই দাবি-৫ দফা দাবী না মেনে গণতন্ত্রে ফিরে আসা অসম্ভব। দেশের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ৫ ডিসেম্বর লালদিঘীর মাঠের ৮ দলের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চট্টগ্রামবাসীকে দলে দলে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫.৪৫ টায় বিআইএ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, এডভোকেট আবু নাছের, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আবুল আফীফ, মাওলানা আবুল ফয়েজ, মাওলানা কামাল উদ্দীন, মুহাম্মদ নুরুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার মহীদুল মোস্তফা, আরিফুর রশীদ, আ.ক.ম ফরিদুল আলম, আসাদুল্লাহ ইমলামাবাদী সহ প্রমুখ উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণভোটের মর্যাদা সর্বোচ্চ যেখানে সরাসরি ভোটারগণ মতামত দিয়ে মজবুত আইনি ভিত্তি রচনা করেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ঐতিহ্য হলো গণভোট আলাদাভাবেই আয়োজন করা। কিন্তু, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতসহ ৮ দলের যৌক্তিক দাবি পাশ কাটিয়ে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের ঘোষনা দিয়ে গোলকধাঁধা সৃষ্টি করেছেন। এখন সরকারকেই সেই সংকট নিরসন করতে হবে। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে কোনটির ফলাফল ঘোষণায় বিভ্রান্তি দেখা দিবে। গণভোটে ‘না’ জয়ী হলে জাতীয় সংসদ কিভাবে গঠন করবে তার রূপরেখা দেয়া হয়নি। মানুষকে ধোঁয়াশায় রেখে নির্বাচন দেয়া মানে জাতির সাথে তামাশা করা। নির্বাচনে অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে নির্বাচন স্থগিত হলে গণভোটের ফলাফল কিভাবে ঘোষণা করবে সরকারকেই এসব প্রশ্নের সমাধান দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জাফর সাদেক বলেন, আমাদের দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে সমাবেশকে সফল করতে হবে। এজন্য সবাইকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
মহানগরী আমীর বলেন, একটি বড় দলের একাংশসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, জাপাসহ ১৪ দল, সিপিবিসহ কিছু বাম দল ইতোমধ্যেই ‘না’ ভোটের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে, যা জুলাই আন্দোলনে দু’হাজার শহীদ, অসংখ্য নির্যাতিতদের অমর্যাদা করার শামিল। আমরা গণভোটে সংস্কারের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোটকে বিজয়ী করার জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাসহ দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর বলেন, ৫ দফা দাবিতে জামায়াত সহ ৮ দল মাঠে নেমেছে। জনগণের দিকে তাকিয়ে এ দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এলক্ষ্যে নির্বাচনের পূর্বে আলাদাভাবে গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, পলাতক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা, দুর্নীতিসহ জুলুম-নির্যাতনের দৃশ্যমান বিচার, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি মেনে সরকারকে বাধ্য করা। আগামী ৫ ডিসেম্বর জুমাবার বিকাল ২ টায় ঐতিহাসিক লালদীঘির বিভাগীয় সমাবেশে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।











