নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আইটির বিকল্প নেই

জিএমআইটি এবং স্মাইল ফাউন্ডেশনের গণহারে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আইটি শিক্ষার বিকল্প নেই। দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যে নতুন দেশ পেয়েছি সেই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আইটিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। উন্নত ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই। জিএমআইটি সে কাজটি করে যাচ্ছে। তারা গত এক দশকে হাজার হাজার প্রযুক্তি নির্ভর তরুণ উদ্যোক্তা তৈরী করে চট্টগ্রামে সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি অন্যান্য আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আইটির কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে আমরা যত এগিয়ে যেতে পারব, তত বেশি দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে পারব।

তিনি বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নগরীর ষোলশহর দুই নাম্বার গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে মাহে রমজান উপলক্ষে জিএমআইটি এবং হেল্পলেস স্মাইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গণহারে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে ১০০০ এরও বেশি পথচারী, রিক্সাওয়ালা, সিএনজিওয়ালা শ্রমিক ও সুবিধা বঞ্চিতদের ইফতার বিতরণ করা হয়।

জিএমআইটি এবং হেল্প লেস স্মাইল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল কায়েস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি।

মেয়র বলেন, আমরা গত ১৬ বছর আইসিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, যে আইনগুলো জনগণের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেগুলো সংশোধন করতে হবে। আমরা মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করেছি। ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম করে গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র জনতার বুকের রক্ত দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল করিম কচি বলেন, নবীনদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চট্টগ্রামে পিছিয়ে থাকা পথ শিশু, অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করছে স্মাইল ফাউন্ডেশন। তিনি চট্টগ্রামের তরুণদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে জিএমআইটির গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে কামরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, উন্নত বিশ্ব হতে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পিছিয়ে আছে প্রায় পাঁচ বছর। জিএমআইটির উদ্যোগে পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রামের তরুণদের আই টি শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই। বিশেষ করে বর্তমানে জি এম আই টি অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ২০টিও বেশি আইটি ভিত্তিক কোর্স প্রদান করছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি ছাড়িয়ে যাবে। চলমান ২০ টি প্রশিক্ষণের মধ্যে জিএমআইটির উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে উদ্যোক্তারা দেখেশুনে বুঝে নিজ দায়িত্বে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন।

এত উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা ডা. এস এম সারোয়ার আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিএমআইটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নাজাতুল আলম জিসান, ভাইস চেয়ারম্যান জাভেদ সিদ্দিকী নিল, স্মাইল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি হেলাল সিকদার, আলী আজম, আবু নাঈম, এডভোকেট জামাল উদ্দিন, মো. আয়াতুল্লাহ, মো. রাশেদ, রায়হান চৌধুরী, আইয়ুব হেলালী, আজিম উদ্দিন, আবু নাঈম, ইফতেখার ইফতি, আদনান আরিফ, মো. রাসেল, আলী আজগর, আবু তৈয়ব উল্লাহ প্রমূখ।