চট্টগ্রামে ৭ দফা দাবিতে ‘বিআরইএল’ এর মানববন্ধন

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের উপর দীর্ঘদিন যাবত অন্যায় ও জুলুম চলছে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা যেখানে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে সেখানে রেল শ্রমিকরা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে রেল শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করা সহ তাদের ৫ দফা ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

তিনি আজ বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগ (বিআরইএল)–চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে সিআরবি চত্বরে এক বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম অঞ্চল সভাপতি মো: মনিরুল ইসলাম মজুমদার এর সভাপতিত্বে এবং আঞ্চলিক সেক্রেটারি এমরান হোসাইন এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরইএল এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আ: আজিজ, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. আসাদুল্লাহ শিশির, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান। সিআরবি শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আমানুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে কর্মচারীরা বেতন বৈষম্য, গ্রেড জটিলতা এবং বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কার্যকর কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছেন। রেলওয়ের হাজারো কর্মচারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সরকারি অফিসে ঘুস দুর্নীতির বন্ধ করতে হলে দ্রুত বৈষম্য মুক্ত নবম পে স্কেল ঘোষণা করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তাদেরকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না।

উত্থাপিত ৭ দফা দাবি
১. বেতন গ্রেড ২০টি থেকে কমিয়ে ১০টি করা, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকা করা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতনের অনুপাত ১:৪৪ নির্ধারণ করে বৈষম্য দূর করতে হবে।
২. চিকিৎসা ভাতা ১০,০০০ টাকা, শিক্ষা ভাতা ৭,০০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪,০০০ টাকা, রেশন ভাতা ৬,০০০ টাকা, টিফিন ভাতা ৩,০০০ টাকা, ধোলাই ভাতা ১,০০০ টাকা এবং বাংলা নববর্ষ ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ প্রদান করতে হবে।
৩. পেনশন ১০০% প্রদান এবং গ্র্যাচুইটি প্রতি ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৪. অবসরপ্রাপ্ত মাসিক নীট পেনশনভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে
৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব পেনশনভোগীর নীট পেনশনের পরিমাণ ৮০% বৃদ্ধি,
অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ৭০% বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. পূর্বের ন্যায় ৪ বছর পূর্তিতে সিলেকশন গ্রেড এবং ৮, ১২ ও ১৫ বছর পূর্তিতে ৩টি টাইম স্কেল পুনরায় চালু করতে হবে।
৬. পে-স্কেল থেকে প্রায় ১০ বছর বঞ্চিত থাকায় ০১/০৭/২০২৫ ইং থেকে ৯ম পে-স্কেল কার্যকর করতে হবে।