বিরোধ কাটিয়ে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার পর হোয়াইট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। আধঘণ্টা বৈঠকের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রাম্প ও মামদানি।

৪ নভেম্বরের নির্বাচনে মামদানির ঘোরবিরোধী ছিলেন ট্রাম্প। একে অন্যকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তবে শুক্রবারের বৈঠকটি ছিল একেবারেই ভিন্ন। এদিন মামদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ট্রাম্প।
নবনির্বাচিত মেয়রকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নিউইয়র্কের মেয়র হওয়া অনেক বড় ব্যাপার। তিনি আশা করেন, মামদানি দুর্দান্ত মেয়র হবেন। আর মামদানি বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বৈঠকে নিউইয়র্কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধ প্রবণতা, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উদ্বেগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প ও মামদানি।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের একটা দারুণ বৈঠক হলো। খুবই ভালো, খুবই ফলপ্রসূ। আমাদের একটা মিল আছে। আমরা দুজনই চাই আমাদের এই প্রিয় শহরটা ভালোভাবে এগিয়ে যাক।
তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (মামদানি) অভিনন্দন জানিয়েছি। তিনি সত্যিই অসাধারণ একটি নির্বাচনের লড়েছেন। প্রাথমিক থেকেই খুবই দক্ষ ও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তিনি সবাইকেই খুব সহজে হারিয়েছেন।
এসময় মামদানি বলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে আমার বৈঠকটা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা দুজনই নিউইয়র্ক সিটিকে ভালোবাসি। এই শহরেই আমাদের মিল। আর এই শহরের মানুষকে কীভাবে সাশ্রয়ী জীবন ফিরিয়ে দেয়া যায় সেটাই ঠিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হন ৩৪ বছর বয়সি ডেমোক্র্যাট নেতা জোহরান মামদানি। ১ জানুয়ারি বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের কাছ থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
হাতে গোনা মাত্র মাত্র কয়েক দিন আগেও ট্রাম্প এবং মামদানি ছিলেন মুখোমুখি। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যে কিছু নেই ওভাল অফিসের এই আন্তরিক বৈঠক যেন তা আরেকবার মনে করিয়ে দেয়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্প ও মামদানির এ বৈঠক নিউইয়র্কবাসীকে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেবে। এখন এই অবস্থান কতদিন বজায় থাকে, তাই দেখার বিষয়।











