সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনার আঙ্গিনা ও সরকারি খাস জায়গায় আচমকা মন্দিরের নামে সাইনবোর্ড স্থাপনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সর্বমহলে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঈদগাঁও বাজারের প্রধান কেন্দ্রস্থল পাবলিক লাইব্রেরী ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখস্থ রাস্তার পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত সরকারী স্থাপনার আঙ্গিনার উপর গেল বুধবার পাশ্ববর্তী কালি মন্দির একটি ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করে। এ সুযোগে উক্ত আঙ্গিনা ও পশ্চিম পাশের সরকারী খাস জমির উপর পৃথক দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে।

যাতে উল্লেখ আছে তপশীল ভূক্ত জমি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত কক্সবাজার এর মোকদ্দমা নং-৩৫/৯৮ এর ০৩/১০/২০১৮ইং তারিখের রায় ডিগ্রী মূলে ঈদগাঁও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালী মন্দির এই সম্পত্তির মালিক।
বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভের সাথে জানান, সরকারী পরিত্যক্ত স্থাপনার আঙ্গিনা, পাবলিক লাইব্রেরী ও শহীদ মিনারের প্রবেশ পথের উভয় পাশের সরকারী খাস জায়গাটি যুগযুগ ধরে উপজেলার ক্ষুদ্র লাকড়ি ও কাঠ ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে আসছেন। তা কিভাবে মন্দিরের মালিকানার রায় হল বোধগম্য হচ্ছে না। তাদের শঙ্কা হয়ত তথ্য গোপন করেছেন মন্দির কতৃপক্ষ।
তারা প্রশ্ন ২০১৮ সালে যদি আদালত এ রায় দেয় , তবে এতবছর পর কেন এ সাইনবোর্ড টাঙানো হল।
সচেতন জনগণের অভিমত আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অস্থিরতার সুযোগে ধর্মীয় অনুভূতিকে পূজি করে মন্দির কতৃপক্ষ এ মূল্যবান জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন। তারা অবিলম্বে উক্ত জায়গা সম্পর্কিত নথির তথ্য যাচাই পূর্বক প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
ঈদগাঁও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালী মন্দি পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম রায় পুলক বলেন, জায়গাটির মালিক দলিল মূলে মন্দির। পরে সরকার খাস রেকর্ড করলে মামলার রায়ের মাধ্যমে জায়গাটি মন্দিরের মালিকানায় ফিরে আসে দাবি করেন।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বলেন, কিভাবে এ জায়গা নিয়ে রায় হল তা জানতে ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) শারমিন সোলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে সরকার পক্ষ হয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।











