বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম জলপ্রপাতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পর্যটক মো. ইকবাল হোসেন (২৪)–এর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ স্টেশনের ডুবুরি দলের প্রধান রহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জলপ্রপাতের গভীর পানির নিচের গুহা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নাফাখুমে গোসলে নামার পর থেকে ইকবাল নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, জলপ্রপাতের গভীর গুহায় প্রবল স্রোতে আটকে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় গাইড ও বোটচালকদের সহায়তায় শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে আসা ১৭ সদস্যের একটি পর্যটকদল আলীকদম হয়ে তিন্দু গ্রোপিং পাড়ায় পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও নিবন্ধিত গাইড ছাড়া নাফাখুমের উদ্দেশে রওনা দেন। স্থানীয় একটি রিসোর্টে অবস্থান করে তারা জলপ্রপাত এলাকায় ঘুরতে যান। গোসলে নামার একপর্যায়ে ইকবাল হোসেন দুর্ঘটনার শিকার হন।
থানচি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তরুণ বড়ুয়া বলেন, নাফাখুম জলপ্রপাত পাথুরে এবং পানির স্রোত অত্যন্ত তীব্র। অভিজ্ঞ গাইড ছাড়া সেখানে ভ্রমণ, ছবি তোলা বা গোসল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা পর্যটকদের সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।
ডুবুরি দলের প্রধান রহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহটি গভীর গুহার ভেতরে আটকে ছিল। তিনজন ডুবুরি অক্সিজেন নিয়ে পর্যায়ক্রমে কাজ করে প্রায় ৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মরদেহ থানায় নিয়ে আসছে। থানচি থেকে নাফাখুম পর্যন্ত যাতায়াতে প্রায় ১০ ঘণ্টা পায়ে হাঁটতে হয়। মরদেহটি সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।











