আদালত অবমাননা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্রতিবাদে রাউজানে মানববন্ধন

শফিউল আলম, রাউজানঃ রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রমজান আলী চৌকিদার বাড়িতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সন্ত্রাসী দিয়ে জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন।

১৬ নভেম্বর (রবিবার) দুপুরে স্থানীয় একটি সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় নারী পুরুষ অংশ নেন। তারা প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী রীমা আক্তার বলেন, কবির আহম্মদ, আরজু ও নুরুল আবছার সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমাদের জায়গা দখল করেছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিতরে আমাদের একটি বসতঘরও দখল করে। আবদুল হোসেন নামে আরও এক ভুক্তভোগী প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রবাসে থাকি। বাড়িতে থাকে মহিলারা। এ সুযোগে ২০/৩০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি দখল করেছে। আমরা থানায় ও আদালতে মামলা করেছি। আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়েছি। আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা আদালত অবমাননা করে জোরপূর্বক দখল করা জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে না।

স্থানীয় প্রতিবেশী আবদুল হামিদ বলেন, প্রবাসী আবদুল্লাহ প্রবাসে। বাড়িতে থাকে ৪/৫ জন মহিলা। তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মূখে জায়গাটি দখল করেছে নুরুল ইসলাম সহ অভিযুক্ত ৫/৬ জন। দখল করা জায়গায় টিউবওয়েল ও টয়লেট ছিল। এগুলো নষ্ট করেছে। অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের স্ত্রী জুলেখা বেগম দাবি করেন বিরোধীয় এ জায়গা খরিদা সূত্রে আমরা মালিক। সামাজিক বৈঠকেও আমাদের বলে জানিয়ে রায় দিয়েছেন। অভিযুক্তদের একজন এডভোকেট নুরুল আবছার। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আমরাও আদালত থেকে আমাদের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছর ধরে প্রবাসী আবদুল হোসেন ও তাঁর অপর ভাই বিদেশে থাকেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম গং তাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি দখল করে। জায়গা দখল করতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেছে তারা। গত কয়েকমাস ধরে এ নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা চলছিল। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু থানা পুলিশ ও আদালতের সিন্ধান্ত কোন পক্ষেই মানছিল না।

এ অভিযোগের রাউজান থানার তদন্ত অফিসার মোহাম্মদ আলী সৈকত জানান, আমি কয়েক দফায় দুই পক্ষকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি ঘটনাস্থলে গিয়ে। সাময়িক বন্ধ করলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমি উভয় পক্ষকে আদালতে যাওয়া কথা বলেছি। যেহেতু জায়গা জমির সিন্ধান্ত একমাত্র আদালত দিতে পারে। পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করে।