চারুকলাকে চবির মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আমরণ অনশনে চারুকলার ৯ শিক্ষার্থী

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন অনুষদের ৯ জন শিক্ষার্থী।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচিতে বসেন তারা। তাদের সাথে সমর্থন জানাতে কর্মসূচিতে যোগ দেন আরও অনেক শিক্ষার্থী।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর মধ্যে প্রশাসনের সাথে আলোচনাও হয় তবে ইতিবাচক কোন সমাধান না আসায় তারা অনশনের পদক্ষেপ নেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি। সবশেষ গত ডিসেম্বরে ৩১ মার্চের মধ্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় এবার আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

অনশন কর্মসূচি পালন করা ৯ শিক্ষার্থী হলেন- ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই শিক্ষাবর্ষের মালিহা চৌধুরী ও নুসরাত জাহান ইপা, ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নূর ইকবাল সানি, ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম মাহী ও মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ।

চারুকলার ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘এই আন্দোলন আজকের নয়। বছরের পর বছর ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। প্রশাসন ও শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি ছিল চারুকলা ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরবে। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি।’

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছি না। শুধু চাই শিক্ষার মৌলিক সুবিধা। ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়াশোনা করলে আমরা একাডেমিকভাবে অনেক বেশি উপকৃত হতাম। কিন্তু আমাদের কিছু শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে এই স্থানান্তর ঠেকিয়ে রাখছেন।’

শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় ও চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই তারা দিন-রাত অবস্থান করবেন।