দুই মিনিটে পরিকলপনায় ধর্ষণ-খুন

দূর্ঘটনা সাজানোর জন্য এক সিএনজি থেকে মৃত্যু যুবতীকে অন্য সিএনজির সামনে ফেলে লাশের উপর সিএনজি চালিয়ে দেয়া হয়।
সিএনজি চালক জয়নাল (১৮) যুবতী চম্পাকে নতুন ব্রিজ থেকে পেকুয়া পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে অন্য সিএনজি চালক সাজ্জাদ (৩০) ছিলেন। সে চম্পাকে কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে যাবে বলে সন্ধ্যা সাতটায় দিকে গাড়িতে তোলে। ভাড়া চুক্তির নামে যুবতীকে গাড়ীতে রেখে দুই মিনিটের মধ্যে দুই সিএনজি চালক চম্পাকে ওল্টো পথে চকরিয়া কোনাখালী নির্জন এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে চম্পাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে খুন করে মেইন রোড়ে এনে এক সিএনজি থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্য সিএনজির নিচে ফেলে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন পুরো হত্যাকান্ডটির আদ্যোপান্ত বের করেছে। ওই ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সিএনজি চালক জয়নালকে (১৮) আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সেই সিএনজিও।
এই ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন (৩০) নামে একজন পালিয়ে আছে। তাকে ধরতেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র‌্যাবের বিশেষ টিম।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই নারী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনে। কিন্তু পুনরায় আবারো পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। প্রতিমধ্যে একটি ব্রীজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, ঘাতকরা এতো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যে চলন্ত গাড়ীর থেকে ফেলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ীটির সামনে ফেলে দেয় তারা। ওই গাড়ীর ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লখ্যে যে, ৬মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্ব রোডে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। তার ফুফি ও ফুফাতো ভাইকে এ হত্যার জন্য দায়ী করে তার বাবা। কিন্তু আসল ঘটনা উদঘাটন করলো র‌্যাব-১৫।