‘কোন প্রকার ষড়যন্ত্র হলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে’

এই ভূখণ্ডের ইতিহাস স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতিক্ষার ইতিহাস। বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামনে দুটি রাস্তা খোলা, হয় মাতৃভূমি রক্ষা করবো না হয় শহীদ হবো। ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর এ র‍্যালির আয়োজন করে। আমাদের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস বার বার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস জীবন দেওয়ার ইতিহাস। ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিজয় র‍্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরের লালখান বাজার এলাকায় জড়ো হয় এবং পরবর্তীতে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত হলে র‍্যালিটি সেখান থেকে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২ নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৭ সালে একবার আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের শোষণের কারণে আমরা সে স্বাদ বেশি দিন ভোগ করতে পারিনি। এরপর ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষ জীবন দিয়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করলেও শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে। এদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সবশেষে ২৪ এর জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে দেশপ্রেমী ছাত্রজনতার ওপর গণহত্যা চালায়। প্রতিবেশি দেশ ভারত সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে। বর্ষাকালে নদীর বাঁধগুলো খুলে দিয়ে এদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে। যদি এদেশের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র হয় তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. উসামা রাইয়ান বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৬ সাল থেকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যতই প্রতিকূলতা আসুক ছাত্রশিবির এই কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক সহ সর্বস্তরের জনতা যে উদ্দেশ্যে রক্ত দিয়েছিল স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। যার প্রমাণ ৬ আগষ্টের গণঅভ্যুত্থান। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই দেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করুন। এই কাজে ছাত্রশিবিরকে সর্বদা পাশে পাবেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মু. শহীদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েল, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহীম, জেলা সভাপতিবৃন্দ, মহানগর ও সকল জেলা শাখার সেক্রেটারীয়েটসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।