শফিউল আলম,রাউজানঃ চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে পচনশীল আবর্জনা। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার জনসাধারণ। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দেখা মিলছে না পৌর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। এদিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাউজান পৌর প্রশাসক মো. রিদুয়ানুল ইসলাম।
১২ অক্টোবর (শনিবার) পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরির্দশনে দেখা যায়, রাউজান ফকির বাজারের বিভিন্নস্থানে পড়ে আছে আবর্জনা। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এদিকে রাউজান থানা ভবনের সামনেও একই অবস্থা। পড়ে আছে আবর্জনা, পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া জলিল নগর, পোস্ট অফিসের সামনে, গহিরা চৌমুহনী, জানালী হাট, বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামনেসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে আবর্জনার স্তুপ। রাউজান ফকির হাটের সিটি সেন্টারের সামনে এবং পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনার স্তুপ থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে রোগ-জীবনা ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে রাউজান পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছে না। হাট-বাজার, রস্তাঘাটসহ যত্রতত্র পড়ে থাকছে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা।
এসব ময়লা কাক আর কুকুর মুখ দিয়ে টেনে সড়কের ওপর নিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করছেন। রাউজানের চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের পাশেও একই অবস্থা। শিক্ষার্থী নুরুল আলম বলেন, পৌর এলাকার জনসাধরণের জন্য একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল অনেক আগে। আবর্জনা ফেরার কারণে ওই নলকূপটি ব্যবহার অযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফকির হাট বাজার দিয়ে চলাচলকারী শ্হা আলম নামে এক ব্যক্তি বলেন, পৌর এলাকার ফকিরহাট বাজারে আসা যাচ্ছে না। ছোট বাচ্চাসহ নানা বয়সী মানুষ চলাচল করতে পারছে না। একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কী কারণে আসছে না তা আমাদের জানা নেই।
এভাবে আবর্জনা পড়ে থাকলে পচে-গলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর কর্মকর্তা জানান, আমাদের সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মী সনাতন ধর্মাবলম্বী। পূজার জন্য তারা আসতে পারছেন না। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ সহ পৌরসভার কাউন্সিলগন এলাকা ছেড়ে আর্ত্নগোপনে চলে যায় । সরকার পৌর মেয়র ও কাউন্সিলাদের পদ থেকে অপসারন করেন। পরবর্তী সরকার রাউজান পৌর এলাকার বাসিন্দ্বাদের সেবা প্রদানের জন্য রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি বিদুয়ানুল ইসলামকে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়। এই বিষয়ে জানার জন্য রাউজান পৌর প্রশাসক মো. রিদুয়ানুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।