সরকার নির্দেশিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চট্টগ্রামের রফতানিমুখী কিছু পোশাক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেড এবং নাসিরাবাদ, কালুরঘাট এলাকায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএর শতভাগ রফতানিমুখী কারখানার মধ্যে যাদের অর্ডার আছে সেগুলো সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে।
সিইপিজেডের দায়িত্বে থাকা বেপজার মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আলম বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে রফতানি আদেশ আছে এমন কারখানা সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। সিইপিজেডের অর্ধশতাধিক কারখানায় এ প্রক্রিয়ায় কাজ শুরু হয়েছে।
এখানে মোট কারখানা রয়েছে ১৫৮টি। কিছু কারখানা ১৫-৪৫ দিনের লে অফের আবেদন করেছিলো। পাশের কর্ণফুলী ইপিজেডে কারখানা রয়েছে ৪১টি। এ ছাড়া কর্ণফুলী থানাধীন কোরিয়ান ইপিজেডে ইয়াংওয়ান গ্রুপের অনেক কারখানা রয়েছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, কারখানার আশপাশে হাঁটা দূরত্বে বাসা আছে এমন শ্রমিকদের দিয়ে রফতানি অর্ডারের বাকি কাজ সম্পন্ন করতে অর্ধশত কারখানায় কাজ চলছে।
বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৬ এপ্রিল) কাট্টলী, কর্ণফুলী নদীর পাড়, কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকা, নন্দীর হাট, বারিক বিল্ডিংসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ২৭টি কারখানায় কাজ চলছে। বিকেএমইএর কমপ্লায়েন্স টিম শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি মনিটরিং করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইপিজেডের একজন কারখানা মালিক বাংলানিউজকে জানান, ২০ শতাংশ শ্রমিক যারা কারখানার কাছাকাছি বাসা নিয়ে থাকে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে রফতানি পণ্য তৈরি করছি আমরা। সরকারের নির্দেশনা শতভাগ মেনেই সীমিত পরিসরে কারখানা খোলা রাখা হয়েছে।