তাজা দেখিয়ে চড়া দামে বিক্রির জন্য গরুর মাংসে কৃত্রিম রং মেশানোর সময় হাতেনাতে ধরেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে মোস্তাকের গোশতের দোকানকে গরুর মাংসে কৃত্রিম রং দেওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে রং মেশানো মাংস ও রং ধ্বংস করা হয়।
একই বাজারের মেসার্স খাজা, হজরত কালুশাহ্ স্টোর এবং আর রহমান স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৪ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
হারুন স্টোরকে নকল চেরি বিক্রয় করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে চার প্যাকেট নকল চেরি ধ্বংস করা হয়।
অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় চান্দগাঁও, কোতয়ালী ও পতেঙ্গা থানায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নেতৃত্ব দেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, গরুর মাংসে যে কৃত্রিম রং মেশানো হচ্ছে তা দেখতে হলুদ। পানিতে মেশালে লাল রং হয়। সেই পানি মেশানো রং গরুর মাংসে মেশানো হচ্ছিল তাজা দেখানোর জন্য।
বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য, পণ্য কেনার ভাউচার ও মূল্য তালিকা তদারকি করা হয়। এ সময় মেসার্স বিসমিল্লাহ্ সেলস সেন্টারকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা, হালিম সওদাগরের দোকানকে একই অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সিরাজ সওদাগরের দোকানকে নকল চেরি (রং দেওয়া করমচা) বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম চেরি ধ্বংস করা হয়। হক মার্কেটের এরশাদ ট্রেডার্সকে অননুমোদিত বিদেশি পণ্য বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল বাজারের বিসমিল্লাহ্ ব্রয়লার হাউসকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৪ হাজার টাকা এবং আরাফাত কুলিং কর্নারকে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করতে ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার ও ইফতার সামগ্রী খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ভোক্তাদের বিক্রেতা যদি বেশি মূল্যে পণ্য বা ওষুধ বিক্রি বা বিক্রির প্রস্তাব করে তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের হটলাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়।