দেশজুড়ে চলছে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গনে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। ক্রীড়াঙ্গনও এর আওতামুক্ত নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্বস্থানীয়দের পদত্যাগ দাবি করেছে সাধারণ জনগণ এবং বিরোধীপক্ষ।
গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে বারবারই পার পেয়ে গেছেন সালাউদ্দিন।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগ ও রদবদলের হিড়িক শুরু হয়েছে। দাবি উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগেরও। তবে তিনি হুমকির মুখে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে সালাউদ্দিন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মোর্শেদীর পদত্যাগের দাবি করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস নাম দিয়ে ভক্তদের একটি দল। এই তিন জনের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বাকি দুজনের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার (১৭ আগস্ট) মানববন্ধন করছে সাবেক নারী ফুটবলাররা।
বাফুফে প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন করেন সাবেক ফুটবলাররা। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জুনিয়র নারী ফুটবলাররাও। বাফুফে থেকে সালাউদ্দিন এবং কিরনকে সরিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনীতি এবং দুর্নীতি মুক্ত করার দাবি তোলেন তারা।
এর আগে পদত্যাগের দাবির বিষয়ে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, পদত্যাগ তো দূরের কথা, আগামী নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কারো হুমকিতে নয়, বরং নিজের ইচ্ছাতেই ফুটবল ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সালাউদ্দিন নিজে থেকে সরে না গেলে নির্বাচন ছাড়া তাকে বদলের সুযোগ নেই। সরকারি হস্তক্ষেপে বাফুফে সভাপতিকে সরাতে গেলে ফিফা বাংলাদেশ ফুটবলকে নিষিদ্ধ করতে পারে।