টানা দশম হার ঢাকার ৫ ম্যাচ পর জয় খুলনার

দুই ম্যাচ আগেই টানা অষ্টম হারে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। বিপিএল-এ একটানা হারের রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ করলো রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গতকাল বিপিএল-এ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে পরাজিত হয় দুর্দান্ত ঢাকা। আসরে এটি তাদের টানা দশম হার। অন্যদিকে ঢাকাকে হারিযে লীগ পর্বের বাধা টপকানোর আশা জিইয়ে রাখলো খুলনা টাইগার্স। পাঁচ ম্যাচ পর জয় দেখলো এনামুল হক বিজয়ের দল।
২০২৪ বিপিএল-এর উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারায় দুর্দান্ত ঢাকা। শুরুটা দারুণ হলেও এরপরই ছন্দপতন মোসাদ্দেক হোসেনের দলের। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টানা অষ্টম হার দেখে ঢাকা। এতে ২০১২ সালে সিলেটের গড়া টানা সাত হারের লজ্জার রেকর্ড ভাঙে ঢাকা। ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ জয় পাওয়া দুর্দান্ত ঢাকা ২ পয়েন্ট রয়েছে বিপিএল টেবিলের তলানিতে।

আর ঢাকাকে হারিয়ে টেবিলের চারে উঠে গেছে খুলনা টাইগার্স। ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে বিজয়ের দলের পয়েন্ট ১০। সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে ফরচুন বরিশাল এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুই দলই ৯টি করে ম্যাচ খেলেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯টি করে ম্যাচ খেলে অর্জন করেছে সমান ১৪ পয়েন্ট।
বিপিএলের রাউন্ড রবিন লীগ পর্বে প্রত্যেক দলই খেলবে ১২টি করে ম্যাচ। শীর্ষ চার দল উঠবে ইলিমিনেটর এবং কোয়ালিফায়ারে। খুলনার বাকি দুই ম্যাচ। দুটিতে জিতলে ১৪ পয়েন্ট হবে দলটির। যদিও বাকি দুই ম্যাচে শতভাগ জয় পেলেও পরের ধাপে পৌঁছাতে তা যথেষ্ট হবে না খুলনার জন্য। কেননা দলটির দুই নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বরিশাল এবং চট্টগ্রামের বাকি ৩টি করে ম্যাচ। এতে দুটি করে জয় পেলেও খুলনার ইলিমিনেটরে পৌঁছানোর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যাবে।

গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার দুই পেসার ওয়াইনে পার্নেল এবং মুকিদুল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা। ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৮ রান তুলতে সমর্থ্য হয়। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় খুলনা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধসের মুখে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ২৩ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। ২৫ করে রান করেন অ্যালেক্স রস এবং ইরফান শুক্কুর। এছাড়া অ্যাডাম রসিংটন ১৮ এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা ১৭* রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। গোল্ডেন ডাক রয়েছে দুটি।

৪ ওভারে ১৯ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন খুলনা টাইগার্সের দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ওয়াইনে পার্নেল। একটি মেডেনও নেন ম্যাচসেরা এই বাঁহাতি। ৩ উইকেট পান মুকিদুল ইসলামও। ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করেন তিনি। রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা টাইগার্সও। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। দলীয় ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার এভিন লুইস (৪ রান)। শুরুর ধাক্কা সামলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন এবং শাই হোপ। ইমন ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ৩২ রান করেন শাই হোপ। দলীয় সর্বোচ্চ রান আসে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে। ২১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৩* রান করেন বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয়বারের মতো চল্লিশের কোঠা পেরোনো এই ব্যাটার। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়াইনে পার্নেল।

খুলনার ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেন ঢাকার দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। একটি উইকেট নেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।