রোগটি কি?
কলোরেক্টাল ক্যান্সার হলো বৃহদান্ত কোলন ও মলাশয়-এর ক্যান্সার।
উপসর্গ:
দীর্ঘদিন হওয়া কৌষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানার মতো আন্ত্রিক অভ্যাসের পরিবর্তন ২. অসম্পূর্ণ মলত্যাগের অনুভূতি ৩. ক্ষুদ্র বা অল্প আকারে মলত্যাগ ৪. মলের সঙ্গে মিশ্রিত রক্ত ও আম (মিউকাস) বের হওয়া ৫. ওজন কমে যাওয়া, পেট ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা।
প্রধান কারণগুলো:
যেসব কারণে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় তাহলো- ৪৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বেশি বয়সী পুরুষদের পারিবারিক ইতিহাস (যদি বংশে কারও হয়ে থাকে) খুব মোটা ব্যক্তির যারা ধূমপান করে, মদ্যপান, লাল ও প্রক্রিয়াজাতকারী মাংস ভোজনকারীদের যারা ফাইবার কম খায় যারা অলস জীবনযাপন করে ও ইনফ্লামাটরি বাউল ডিজিজ।
পরীক্ষা বা যেসব টেস্ট প্রয়োজন হয়:
একজন অভিজ্ঞ কলোরেক্টাল সার্জনের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন পরীক্ষা করে এই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ডিজিটাল রেক্টাল এক্সমিনেশন, প্রক্টোসকপি বা কলোনস্কপি ও বায়োপসি করে এই রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা হয়।
চিকিৎসা:
ক্যান্সার কোন ‘স্টেজ’য়ের আছে তার ওপর নির্ভর করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ‘টিউমার’ অপসারণ, ‘রেডিয়েশন থেরাপি’, ‘কেমোথেরাপি’ ইত্যাদি চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার হলো প্রথম চিকিৎসা। অপারেশনের পূর্বে বা পরে অনেক সময় রেডিও ক্যামো থেরাপির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতি কি হবে তা রোগটির স্টেজ বা পর্যায় ও অন্ত্রের কোন অংশে অবস্থিত তার উপর নির্ভর করে। প্রয়োজনে সাময়িক বা স্থায়ী স্টেমা (পেটের মধ্যদিয়ে অন্ত্র বের করে দেয়া) করতে হতে পারে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ) কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। চেম্বারঃ ১৯ গ্রীন রোড, এ. কে. কমপ্লেক্স, লিফট-৪, ঢাকা। ফোন-০১৭১২৯৬৫০০৯
।