মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বেসরকারি এম্বুলেন্স ড্রাইভারের প্রতারণায় এক রোগীর মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা এলাকায় মানববন্ধন পালন করে সচেতন এলাকাবাসী ও শোকাহত পরিবার। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২৫শে অক্টোবর সকাল ১১টায় কমলগঞ্জের কালেঙ্গা এলাকার কামাল উদ্দিন আহমদ (৫৫) অসুস্থতা বোধ করলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সহকারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এম্বুলেন্সে অক্সিজেন না থাকায় গাড়ির ভেতরেই কামাল উদ্দিন আহমদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় এম্বুলেন্স চালক ছাদিক মিয়া ও খালেদ মিয়াসহ আরও ১৫-২০ জন নিহতের ছেলে শিপু মিয়া ও তার ভাইকে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তারা শিপুর মাথায় ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীরা বাবার লাশের পাশ থেকে শিপুসহ অন্যদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এই নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে থাকা প্রাইভেট এম্বুলেন্সগুলো নানাভাবে রোগীদের জিম্মি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা অভিযোগ করে বলছেন, ফিটনেসবিহীন অনেক অব্যবহার্য এম্বুলেন্সও ওই স্ট্যান্ডে রয়েছে। তাছাড়া রোগী বহনের নাম করে অনেকেই এম্বুলেন্সের সুবিধা নিয়ে অনৈতিক পণ্যও পরিবহন করেছে। তাদের অনেকের সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর ব্যবসায়িক সখ্য থাকায় ওখানে অনেকটা শক্তিশালী ও বেপরোয়া একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা অসহায় রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নির্বিকার। বক্তারা বলেন এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি প্রদক্ষেপ না নিলে প্রয়োজনে জেলার সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে ওখান থেকে উৎখাত করা হবে।











