সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি সফোস আইডেন্টিটি থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (আইটিডিআর) পরিষেবা চালু করেছে। নতুন এই পরিষেবাটি গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেমে সফোস এক্সডিআর এবং সফোস এমডিআরের ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়সংক্রান্ত তথ্য চুরি ও ভুল কনফিগারেশন এই পরিষেবাটির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এছাড়া, চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডের জন্য ডার্ক ওয়েবও স্ক্যান করা যাবে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচয়ের তথ্য ভিত্তিতে হওয়া কোনো সাইবার হামলা দ্রুত চিহ্নিত করতে পারবে এবং সিস্টেমে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপও শনাক্ত করতে পারবে। বর্তমান সময়ে পরিচয়সংক্রান্ত তথ্য চুরি করে সাইবার হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সফোস এক্স-অপস কাউন্টার থ্রেট ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী,
২০২৪ সালের জুন মাস থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ শতাংশ। এই পাসওয়ার্ডগুলো মূলত ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হয়।

সফোস অ্যাকটিভ অ্যাডভার্সারি রিপোর্টে দেখা গেছে, সফোস এমডিআর এবং ইন্সিডেন্ট রেসপন্সের ঘটনায় দ্বিতীয় বছর সাইবার হামলার সবচেয়ে বেশি হওয়ার কারণ ছিল পাসওয়ার্ড চুরি। আর এর ৫৬ শতাংশ ঘটনায় আক্রমণকারীরা বৈধ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে রিমোট সার্ভিসে লগইন করেছে। সফোস আইটিডিআর পরিষেবায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে। যেমন এর আইডেন্টিটি ক্যাটালগ সব সিস্টেমের পরিচয় তথ্য একত্রে দেখিয়ে ব্লাইন্ড স্পট কমায় এবং আইডেন্টিটি ড্যাশবোর্ড গুরুত্ব অনুযায়ী পরিচয় ঝুঁকি ও ডার্ক ওয়েব থেকে পাওয়া চুরি হওয়া পাসওয়ার্ড দেখিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এছাড়া, এসেসমেন্ট ফিচার ভুল কনফিগারেশন, অকার্যকর অ্যাকাউন্ট ও সিস্টেম দুর্বলতা নিয়মিতভাবে চিহ্নিত করে। আর কম্প্রোমাইজড ক্রেডেনশিয়াল মনিটরিং চুরি হওয়া তথ্য নজরে রেখে ইউজারদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা পাঠায়।
এই পরিষেবায় আরও রয়েছে ফাঁস হওয়া তথ্য পর্যবেক্ষণের জন্য ডার্ক ওয়েব ইন্টেলিজেন্স, অস্বাভাবিক কার্যক্রম ও অভ্যন্তরীণ হুমকি শনাক্তর জন্য ইউজার বিহেভিয়ার এনালিটিক্স ফিচার এবং অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া, সেশন বা পাসওয়ার্ড রিসেট করা এবং মাইক্রোসফট ইন্ট্রো আইডিতে ইউজার ঝুঁকি চিহ্নিত’র জন্য আইডেন্টিটি রেসপন্স অ্যাকশনস ফিচার।











