ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ২০ বছরের বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। এছাড়া ঢাকার পরই কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডা. আহমেদুল কবির।
আইইডিসিআর জানায়, ঢাকায় ডেঙ্গুর ডেন-থ্রি ও ডেন ফোর ধরন পাওয়া গেছে। আর কক্সবাজারে ডেন ওয়ান। যা গেল চার বছরে দেখা যায়নি। কয়েকটা ধরন একসঙ্গে পাওয়া গেলে মারাত্মক ঝুঁকি থাকে বলছেন আইইডিসিআরের বিজ্ঞানীরা। ঢাকায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, মুগদা, যাত্রাবাড়ি এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। মশা নিয়ন্ত্রণে যে ঘাটতিগুলো আছে তা পূরণে স্থানীয় সরকার ও সিটি কর্পোরেশনসহ সবপক্ষকেই একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ব্রিফিংয়ে ডা. আহমেদুল কবির বলেন, হাসপাতালে ভর্তির তিনদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা শতকরা হিসাবে ৬৪ ভাগ। ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ১৮ জন, ৬ থেকে ৯ দিনের মধ্যে ৬ জন এবং ৯ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করছেন ৪০ থেকে ৫০ বছরের মানুষ।
এতে নারীদের মৃত্যুহার পুরুষের তুলনায় বেশি। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৩ দিনের মাঝেই ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছেন আক্রান্তরা। তিনি বলেন, ঢাকার পর কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৮ জন।











