কর্নাটক ওয়াকফ বোর্ডের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবার ব্যাঙ্গালোরের ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থীর কোনো অনুষ্ঠান হবে না। হিন্দু ধর্মের এই উৎসব বুধবার ও বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। তার আগেই এ নিয়ে অচলাবস্থার অবসান ঘটালো আদালত। ওদিকে ওই ময়দানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, রাজ্য সরকার সেখানে প্যান্ডেল বানানোর জন্য অনুমতি দেয়ার বিষয় বিবেচনা করছিল। এর আগে হাইকোর্ট বলেছিল, সরকার তাদেরকে অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তারা যুক্তি তুলে ধরে যে, ওই ময়দানে ২০০ বছর ধরে কোনো ধর্মীয় উৎসব হয়নি। এ নিয়ে তিন বিচারকের বেঞ্চ ২.৫ একর জমির ওই ময়দানে স্থগিতাদেশ দেয়। এখন প্রশ্ন হলো ওই ময়দানের মালিক কে- রাজ্য সরকার নাকি ওয়াকফ বোর্ড? এ বিষয়টির সমাধানও দিতে হবে হাইকোর্টকে।
মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বলেন, দু’দিনের জন্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় সেখানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়া উচিত। সেখানে কোনো স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে না।
এর জবাবে ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী দুশ্যায়ন্ত দেব বলেন, তৎকালীন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছিলেন বাবরি মসজিদের বিষয়ে। তারপর কি হয়েছে আপনারা জানেন। তিনি ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয়ার প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে এমন অনুভূতি দেবেন না যে, তাদের অধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে। কোনো সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই ময়দানে হয়নি। আইন অনুযায়ী এই ময়দানকে ওয়াকফ প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আকস্মিকভাবে এ বছর তারা দাবি করে বসেন যে এটা বিরোধপূর্ণ জমি। সেখানে তারা গণেশ চতুর্থীর উৎসব করতে চান।











