দেশ যখন বন্যায় বিপর্যস্ত, সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১০৩৩ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তখনও রাজনৈতিক সভা সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। শনিবার তিনি বলেছেন, ‘হাকীকি আজাদি’র (বাস্তব স্বাধীনতা) জন্য লড়াই করছেন। ইমরান বলেন- দাবদাহ, বন্যা এমনকি যুদ্ধের মধ্যেও তার এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি ঝিলমে এক জনসমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় তিনি তার প্রতিপক্ষকে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
সমাবেশে ইমরান খান আরও বলেন- সংবাদপত্র, বন্ধুপ্রতীম কিছু মিডিয়া, সাংবাদিক এবং একটি বিশেষ মিডিয়া হাউজ ব্যাপকভাবে এই প্রচারণায় নেমেছে। তারা সব সময়ই ‘চোরদের’ সুরক্ষা দিয়ে আসছে। তারা বলছে, এখন সভা সমাবেশ করার সময় নয়। তিনি দেশে বন্যা ট্রাজেডির সময়ে রাজনীতিতে লিপ্ত আছেন- একথা উড়িয়ে দিয়ে ইমরান খান বলেন, এই লড়াইকে তিনি হাকীকি আজাদি লড়াই বলবেন।
তার ভাষায়, আমি ওইসব চোরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি, যারা গত ৩০ বছর ধরে দেশ থেকে লুটপাট করছে। আমি আমি আইনের প্রাধান্য দেয়ার জন্য লড়াই করছি।
আমি এমন একটি দেশের জন্য লড়াই করছি, যা হবে ইসলামিক কল্যাণমূলক। বিরোধী পক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি আমার দেশবাসীকে সাহায্য করবো। কিন্তু তোমাদের ছেড়ে দেবো না। বন্যার সময়ে রাজনৈতিক র্যালি না চালানোর জন্য সরকার যে আহ্বান জানিয়েছে, তার কড়া সমালোচনা করেন ইমরান খান। তিনি কিন্তু সরকার অব্যাহতভাবে একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরেছে।
তার ভাষায়- আমার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা হয়েছে। এমনকি তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছিল। সারাবিশ্বে এ নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। তারা পাকিস্তানকে একটি ব্যানানা রিপাবলিক বলে। আমাদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করে। আমি শুধু বলেছি, যারা শেহবাজ গিলকে নির্যাতন করেছে আইনের অধীনে তাদের বিচার হওয়া উচিত। বলেন, এর মধ্য দিয়ে আমি কি সন্ত্রাস করেছি? ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন একজন মিস্টার ‘ওয়াই’ তার দল পিটিআইকে ইসলামাবাদে হুমকি দিচ্ছে। তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি পিটিআইকে সাবধান করছেন যে, এমন সব কাজ করা হলে তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহ।
আইএমএফের ঋণ কার্যক্রমকে বন্ধ করার জন্য পিটিআই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং তার অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। এর কড়া সমালোচনা করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, যখন তিনি ক্ষমতা ছেড়ে যান তখন মুদ্রাস্ফীতি ছিল শতকরা ১৬ ভাগ। এখন তা শতকরা ৪৫ ভাগ। তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। আর মিফতাহ বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পথচ্যুত করতে চায় পিটিআই।











