গোলাগুলি, বিস্ফোরণে লিবিয়ায় নিহত কমপক্ষে ২৩

পরস্পর বিরোধী গ্রুপগুলোর মধ্যে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। আহত হয়েছেন ১৪০ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। অনলাইন সিএনএন বলেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতভর এসব গ্রæপের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে ওঠে। এ সময় গোলাগুলি এবং বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে কেঁপে ওঠে রাজধানী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব সংঘর্ষের যেসব ছবি প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যায় বহু ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। একটি আবাসিক ভবন একেবারে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি গাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কিছু গাড়ি।

উল্লেখ্য, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন চালানো হয়।

কিন্তু ২০১৪ সালে সেখানে যুদ্ধরত গ্রুপগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। তারাই বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এখন। লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক যে সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তার নাম গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি (জিএনইউ)। জাতিসংঘ সমর্থিত এই সরকার তার সরকারি ফেসবুকে সংঘর্ষ সম্পর্কে লিখেছে, ত্রিপোলির পশ্চিমে ২৭তম গেট এবং দক্ষিণে জেবস গেটে সমবেত হচ্ছিল সশস্ত্র গ্রুপগুলো। সে সময় জাওয়িয়া স্ট্রিট এলাকা দিয়ে একটি কনভয় অতিক্রমকালে একটি মিলিটারি গ্রুপ ওই কনভয়ের দিকে একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকে। এর ফলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেহ অবস্থান করছেন ত্রিপোলিতে। এ স্থানটি লিবিয়ার পশ্চিমাংশে। কিন্তু দেশটির পার্লামেন্ট ভবন অবস্থিত পূর্বে তোবরুক অঞ্চলে। ওই অঞ্চলে বিরোধী গ্রুপের সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ফাতি বাশাঘা। তিনি বার বার চেষ্টা করছেন ত্রিপোলিতে প্রবেশ করে রাজধানী দখল করতে। তার দাবি, জিএনইউ সরকার বেআইনি। তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত। কিন্তু এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে জিএনইউ। তাদের একটিই বক্তব্য শক্তির মাধ্যমে নয়, শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

লিবিয়ার বার্তা সংস্থা লানা’র মতে ত্রিপোলি মিউনিসিপ্যালিটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব জাতিসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড এবং লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির। তারা বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অবিলম্বে সেখানে সহিংসতা বন্ধে অস্ত্রবিরতির আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ।